ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

আইপিএল দিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ক্রিকেটার খুজে পেল ভারত

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ মে ১৭ ২০:৪৯:৪৯
আইপিএল দিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ক্রিকেটার খুজে পেল ভারত

প্লে-অফের যোগ্যতা নির্ধারণের নিরিখে গুরত্বপূর্ণ ছিলো এই ম্যাচ। বাইশ গজের যুদ্ধে মুম্বইকে পাঁচ রানে পিছনে ফেললো লক্ষ্ণৌ। ম্যাচের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছিলো লীগ তালিকার ৩ নম্বরে। সুপারজায়ান্টসরা ছিলো ৪ নম্বরে। গতকালের জয়ের পর মুম্বইকে পিছনে ফেলে তিনে উঠে এলো লক্ষ্ণৌ। চারে নেমে গেলেন রোহিত শর্মারা।

টসে জিতে প্রথমে লক্ষ্ণৌকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একানা স্টেডিয়ামের মন্থর পিচে ব্যাট হাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো ব্যাটারদের। অল্প রানের মধ্যে দীপক হুডা, প্রেরক মাঁকড় এবং ক্যুইন্টন ডি কক’কে হারায় লক্ষ্ণৌ। এরপর ক্রুণাল পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটে প্রত্যাবর্তন ঘটায় তারা। ক্রুণালের ৪৯ এবং স্টয়নিসের ৮৯-এর সুবাদে ১৭৭ রান তোলে

সুপারজায়ান্টসরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধুন্ধুমার করেছিলো মুম্বই। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব, বিষ্ণু বিনোদ, নেহাল ওয়াধেরারা রান পান নি গতকাল। শেষ ওভারে টিম ডেভিড ও ক্যামেরন গ্রিনের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ সামলে দুর্দান্ত বোলিং করলেন মহসীন খান। এই বাঁ-হাতি পেসারের মধ্যে জাহির খানের ছায়া দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

শেষ ওভারে বাকি ছিলো মাত্র ১১ রান। ব্যাট হাতে ক্রিজে ছিলেন দুই ধ্বংসাত্মক অলরাউন্ডার-টিম ডেভিড এবং ক্যামেরন গ্রিন। এমতাবস্থায় নব্বই শতাংশ দর্শকই হয়ত বাজি ধরবেন ব্যাটারের ওপরেই। শেষ ওভারে ১১ রান বাঁচানো আধুনিক ক্রিকেটে কঠিন বলে মেনে নেবেন সকলেই। সেই কঠিন কাজটাই দারুণ মুন্সীয়ানার সাথে করে দেখালেন মহসীন খান। আগের ওভারে নবীন-উল-হকের বলে যথেচ্ছ প্রহার করেছিলেন টিম ডেভিড।

নো-বলে চার রান দিয়ে লক্ষ্ণৌকে প্রায় খাদের দিকে ঠেলেই দিয়েছিলেন নবীন। সেখান থেকে তাদের টেনে তুললেন মহসীন। ওভারের প্রথম বলে কোনো রান করতে পারেন নি গ্রিন, দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে ডেভিড’কে স্ট্রাইক দেন তিনি। বাকি রানটুকু করতে পারেন নি ডেভিডও। মাত্র ৬ রান খরচ করে ওভার শেষ করেন মহসীন। ৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস।

চোটের জন্য ক্রিকেট থেকে বহুদিন দূরে ছিলেন মহসীন খান। করাতে হয়েছিলো অস্ত্রোপচার। এবার আইপিএলে লক্ষ্ণৌর হয়ে কামব্যাকের পর কয়েকটি ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। গতকাল একানা স্টেডিয়ামে ফের একবার নিজেকে ফিরে পেলেন মহসীন। দুই দিকে দুর্দান্ত স্যুইং করাতে পারেন। হাতে ভালো ইয়র্কার রয়েছে। একজন ভালো পেসার হয়ে ওঠার সকল গুণাবলিই রয়েছে মহসীনের মধ্যে। জাহির খান অবসর নেওয়ার পর

নিয়মিত কোনো বাঁ-হাতি পেসার নেই ভারতীয় দলে। অর্শদীপ সিং কিছু সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন নি। গতকাল মাত্র ১১ রানের পুঁজি হাতে নিয়ে মহসীন ম্যাচ জেতানোয় তাঁকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার দাবী উঠতে শুরু করেছে। ২০১১ সালে ভারত যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলো, সেই জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসার জাহির খান। সুযোগ পেলে মহসীনও সেই ভূমিকা নিতে পারবেন বলে ধারণা অনেক বিশেষজ্ঞের।

গতকাল ম্যাচ জিতিয়ে অধিনায়ক ক্রুণাল পান্ডিয়ার কুর্ণিশ আদায় করে নিয়েছেন মহসীন। খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে ক্রুণাল বলেন, “মহসীনের হৃদয়টা অনেক বড়। একমাত্র আকাশই ওর সীমানা।” চোট সারিয়ে এসে যেভাবে তিনি মাঠে পারফর্ম করেছেন তাকে সেলাম জানিয়েছেন ম্যাচের সেরা মার্কাস স্টয়নিস’ও। যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা সেই মহসীন অবশ্য এখন মাঠের পারফর্ম্যান্সেই ফোকাস রাখতে চান। বাবা অসুস্থ, রয়েছেন হাসপাতালের আইসিইউ’তে। তাঁর কথা মাথায় রেখেই ভালো পারফর্ম্যান্স চালিয়ে যেতেন চান বাঁ-হাতি পেসার।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ