ঢাকা, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

প্লে-অফের পথে কলকাতার কাল হয়ে দাঁড়াল কেবল ১ রান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ মে ২১ ১২:৪৭:৩৮
প্লে-অফের পথে কলকাতার কাল হয়ে দাঁড়াল কেবল ১ রান

নিজেদের ভবিতব্য অন্যের হাতে ছাড়তে চাইছিলেন না ক্রুণাল পান্ডিয়ারা। মোহনবাগানের সবুজ-মেরুন গায়ে চাপিয়ে কলকাতার মাঠে কলকাতা বধের কঠিন কাজটা করে দেখালো লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। এর আগের বছর এই মাঠেই রজত পতিদারের শতরানের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো সুপারজায়ান্টসদের খেতাব জয়ের স্বপ্ন। এলিমিনেটর থেকেই বাইরের রাস্তা দেখতে হয়েছিলো।গতকাল সেই মাঠেই শেষ চারের যোগ্যতা অর্জন করলো তারা।

টসে জিতে প্রথম প্রতিপক্ষ লক্ষ্ণৌকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কলকাতা অধিনায়ক নীতিশ রানা। হর্ষিত রানা, বৈভব আরোরাদের সৌজন্যে শুরুতেই সুপারজায়ান্টসদের বাগে পেয়েছিলো কলকাতা। কিন্তু চাপ কাটানোর কাজটা করেন নিকোলাস পুরান। ক্যারিবিয়ান তারকা ৩০ বলে ৫৮ রান করে লক্ষ্ণৌর বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দেন। আয়ুষ বাদোনি ২১ বলে ২৫ রান করেন। সুপারজায়ান্টসরা থামে ১৭৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয় ও ভেঙ্কটেশের ওপেনিং জুটি শুরুটা ভালো করেছিলো কলকাতার হয়ে। ৬১ রান যোগ করেন তাঁরা। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ব্যাকফুটে চলে যায় নাইট বাহিনী। লোয়ার অর্ডারে নেমে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন রিঙ্কু সিং। ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না তিনিও। ১ রানে ম্যাচ হেরে মরসুম শেষ করলো নাইটরা।

ইডেন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই অবস্থিত মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব। বাঙালির শতাব্দীপ্রাচীন প্রতিষ্ঠানকে গতকাল সম্মান জানিয়ে গেলো লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। তাদের হাত ধরেই আইপিএলে পা রাখলো আবেগের সবুজ-মেরুন। কলকাতার আবেগকে কাছে টানতে নিজেদের জার্সির রঙে বদল এনেছিলো লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। নিজেদের চেনা নীল জার্সি ছেড়ে আজকের ম্যাচের জন্য বিশেষ সবুজ-মেরুন জার্সি সামনে গায়ে চাপিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ক্রুণাল পান্ডিয়ারা। কলকাতার সবুজ-মেরুন জনতার একটা বড় অংশের সমর্থন’ও গতকাল ছিলো লক্ষ্ণৌর সঙ্গেই।

প্রথমে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা অধিনায়ক নীতিশ রানা। শুরুটা ভালোই করেছিলো নাইট বাহিনী। গতকাল কাইল মেয়ার্স বা দীপক হুডা নয়, ক্যুইন্টন ডি ককের সাথে ইনিংসের সূচনা করতে করণ শর্মাকে পাঠিয়েছিলো লক্ষ্ণৌ। রান পেলেন না তিনি। হর্ষিত রানার বলে আউট হলেন ৩ রান করেই। এরপর বৈভব আরোরার গতিতে পরাস্ত হতে দেখা গেলো প্রেরক মাঁকড়কে। হর্ষিত রানার হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লক্ষ্ণৌর জয়ের নায়ক মার্কাস স্টয়নিসকে খাতাই খুলতে দেন নি বৈভব। ৩ বলে ০ করেন তিনি।

নাইট বোলারদের ফাঁসে আটকা পড়ে ছটফট করছিলো লক্ষ্ণৌ ইনিংস। সেই নাগপাশের বাঁধনমুক্ত করলেন নিকোলাস পুরান। কঠিন উইকেটে ঝড় তুলতে দেখা গেলো পুরানকে। এর আগেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১৯ বলে ৬২ করেছিলেন তিনি। গতকাল ইডেনেও খেললেন ৩০ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৪টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারেন পুরান। প্রায় ১৯৫ স্ট্রাইক রেটে খেলা এই ইনিংসটি লক্ষ্ণৌর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দেয় অনেকগুণ। পাশাপাশি উইকেট আঁকড়ে আয়ুষ বাদোনির ২১ বলে ১৫ রানের ইনিংসও সুবিধা করে দেয় তাদের। শেষমেশ ২০ ওভারে রান পৌঁছায় ১৭৬ এ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ