রোহিত শর্মা নয়, হার্দিক পান্ডিয়া অধিনায়কত্ব ছাড়লে দ্বায়িত্ব পাবে যে ক্রিকেটার

চলতি আইপিএলের টানা তিন ম্যাচ হেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে মুম্বই। গুজরাত টাইটান্সের বিপক্ষে আহমেদাবাদের মাঠে পরাজিত হয়েই আসরের শুরুটা করেছিলো তারা। এরপর সানরাইজার্সের বিপক্ষে উপ্পলের মাঠে রেকর্ড সংখ্যক রান হজম করতে হয়েছিলো মুম্বই বোলারদের। সেদিনও হার’ই জুটেছিলো ভাগ্যে। পরপর দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে ধরাশায়ী হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন ঘরের মাঠে বুঝি ঘুরে দাঁড়াবে হার্দিক-বাহিনী। কিন্তু পূর্ণ হয় নি সেই আশায়। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতেও খড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছে তারা।
পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন, গত বারও প্লে-অফের যোগ্যতামান পেরিয়েছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের এহেন হতশ্রী পারফর্ম্যান্স অবাক করেছে ক্রিকেটজনতাকে। কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই তুলে ধরেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের আচমকা নেতা বদলের সিদ্ধান্ত। ট্রেডিং উইন্ডো ব্যবহার করে গুজরাত টাইটান্স থেকে হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে ফিরিয়ে সটান অধিনায়কের পদে বসিয়েছিলো মুম্বই। দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে তাতেই, অভিযোগ ক্রিকেটবিশেষজ্ঞদের অনেকের। অন্ধকারময় অধ্যায়কে পিছনে ফেলে সামনে তাকাতে হয়ত আরও একবার মরসুমের মাঝপথেই নেতৃত্বের ব্যাটন অন্য কারও হাতে তুলে দিতে হবে মুম্বই শিবিরকে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জার্সিতে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম অধ্যায়টা নিঃসন্দেহে সাফল্যমণ্ডিত। ২০১৫ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ট্রফি জিতেছেন চারবার। হয়ে উঠেছিলেন দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ক্রিকেটবিশ্বে অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁকে জাত চেনানোর মঞ্চও উপহার দিয়েছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস এখনও পর্যন্ত বেশ কন্টকময়। রোহিত শর্মা’কে সরিয়ে হার্দিকের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া মেনে নিতে পারেন নি সমর্থকদের একটা বড় অংশ। রীতিমত বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, চূড়ান্ত কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে হার্দিক’কে।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে যেদিন চলতি আইপিএল মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সেদিন আহমেদাবাদে দুই পক্ষের সমর্থকদের রোষানলেই পড়েছিলেন হার্দিক। গুজরাত ছেড়ে মুম্বইতে ফিরেছেন হার্দিক। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত ছিলেন না টাইটান্স সমর্থকেরা। অন্য দিকে রোহিতের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য মুম্বই সমর্থকদের শ্লেষের বাণেও বিদ্ধ হতে হয় তাঁকে। পরবর্তী ম্যাচগুলিতেও কোনো রকম উন্নতি হয় নি অবস্থার। ওয়াংখেড়েতে টসের সময় সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর উত্তেজিত জনতা’কে সুষ্ঠু আচরণ করতে অনুরোধ করেছিলেন, তাতেও ভেজে নি চিঁড়ে।
পরপর তিন ম্যাচে হারের পর ঘোর সংকটের মুখে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির। জানা যাচ্ছে সাজঘরের পরিস্থিতিও বিশেষ ভালো নয়। হার্দিক ও রোহিত শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন ক্রিকেটাররা। রয়েছে পারস্পরিক রেষারেষি। আপাতত দল মালিক আম্বানিদের সমর্থন হার্দিকের দিকে থাকলেও কতদিন তা স্থায়ী হবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর যে ৭ ও ১৪ তারিখ যথাক্রমে দিল্লী ক্যাপিটালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচদুটিই হতে চলেছে ক্যাপ্টেন হার্দিকের অন্তিম সুযোগ। যদি এই দুই ম্যাচে দলকে সাফল্য এনে দিতে না পারেন তিনি, তাহলে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে হার্দিককে।
তারকা অলরাউন্ডারকে অধিনায়কের পদ থেকে সরানো হলে নতুন নেতা কে হবেন? প্রশ্ন রয়েছে ক্রিকেটমহলের অন্দরে। ২০১৩ সালে মাঝ মরসুমে রিকি পন্টিং সরে দাঁড়ানোর পরেই রোহিত’কে অধিনায়ক করা হয়েছিলো। আরও একবারই কি অধিনায়কের পদে ফিরছেন রোহিত শর্মা’ই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্বিতীয় বার নেতৃত্বের দায়িত্ব স্বীকার করতে সম্ভবত রাজী হবেন না হিটম্যান। সেক্ষেত্রে অধিনায়ক হিসেবে আদর্শ হতে পারেন জসপ্রীত বুমরাহ। ইতিমধ্যেই টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০১১ থেকে রয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে। দলকে সাফল্যের শিখরে আরও একবার নিয়ে যেতে তারকা পেসারই বাজি হতে পারেন আম্বানিদের।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- মার্জিন বিধিমালা ২০২৫ খসড়া প্রকাশ, বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ঘোষণা
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসইর বিশেষ সতর্কবার্তা
- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের বড় ঘোষণা, শেয়ারে হঠাৎ চাহিদার ঝড়
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: লস টাইমে গোল, শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- বিনিয়োগকারীরা সাবধান: ডিএসইর গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৯ কোম্পানির শেয়ার
- আজকের শেয়ারবাজার: বিক্রেতা সংকটে ৯ কোম্পানি হল্টেড
- সরকারের এক সিদ্ধান্তে ৭০০ টাকার গরুর মাংস মিলবে ১২০-১২৫ টাকায়
- দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৩ কোম্পানির মুনাফা হ্রাস