সাকিবের প্রত্যাবর্তন ঠেকাল বিসিবি, ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সাফল্যের সাক্ষী তিনি, তবে ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলেছে অনেকের মনে। বিসিবির নীরবতা ও উপেক্ষার কারণে নিজেকে প্রমাণের জন্য নতুন পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে প্রতিটি বড় আসরেই দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন সাকিব। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে ছাড়াই খেলেছে বাংলাদেশ দল। বিসিবি কি ইচ্ছাকৃতভাবেই তাকে উপেক্ষা করেছে, নাকি এটি কেবল যোগাযোগের অভাব? এই প্রশ্ন এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে।
বোলিং অ্যাকশন বিতর্ক: বিসিবির গাফিলতি?
বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন সাকিব। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে কাজ করার সুযোগ পেলে দ্রুতই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন। কিন্তু বিসিবির কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি। নির্বাচকরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেবল ব্যাটার হিসেবে সাকিবকে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। অথচ, এই পুরো বিষয়টি আরও পেশাদারভাবে সামলানো যেত।
রাজনীতি নাকি ক্রিকেট? সাকিবের প্রশ্ন!
২০২৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ম্যাথুজের টাইমড আউট বিতর্কের পর থেকেই ওয়ানডে দলের বাইরে আছেন সাকিব। এরপর দেশে বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অনুমতি পাননি। ক্রিকেটীয় কারণ নাকি রাজনৈতিক কারণ— কোনটি তাকে মাঠের বাইরে রেখেছে, তা নিয়ে বিতর্ক থামছেই না।
বোর্ডের উদাসীনতা ও সাকিবের হতাশা
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার কোনো অভিযোগ নেই, তবে বোর্ডের সাথে যোগাযোগ আরও স্বচ্ছ হলে আমি বেশি খুশি হতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুধু চাইছিলাম কোচ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজের সুযোগ, যদি তাতেও ব্যর্থ হতাম, তাহলে বাদ দিলেও আপত্তি ছিল না।’ কিন্তু বিসিবি তার অনুরোধে কর্ণপাত করেনি। জাতীয় দলের নির্বাচক বা ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান, কেউই তার সাথে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। ফলে বাধ্য হয়েই তিনি গ্যারেথ ব্যাটির তত্ত্বাবধানে কাজ করে নিজেকে প্রস্তুত করেন।
ভবিষ্যতের দিকে নজর: সাকিব কি ফিরতে পারবেন?
বিসিবির অবহেলা ও ভুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে হতাশ হলেও সাকিব এখন অতীত নিয়ে ভাবতে চান না। ভবিষ্যতে যা আসবে, সেটাই গ্রহণ করতে প্রস্তুত তিনি। তবে এটাও পরিষ্কার করে বলেছেন, সঠিক সময়ে বোর্ড যদি তার পাশে থাকত, তাহলে পরিস্থিতি অনেক সহজ হতে পারত।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে কি বাংলাদেশ দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? বিসিবির এই সিদ্ধান্ত কি ভবিষ্যতে আক্ষেপের কারণ হবে? ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায়, সাকিব আবার মাঠে ফিরে তার সামর্থ্যের প্রমাণ দেবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে
- সাত কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার