তিন মাসে পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে রেকর্ড মুনাফা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য চমকের শেষ নেই। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে, কারণ অধিকাংশই উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে এখন লোকসানের ধাক্কা সামলাচ্ছেন। বরং যারা পর্দার আড়ালে থেকে এই দরবৃদ্ধির নেপথ্য কারিগর, তারাই বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং, শাইনপুকুর সিরামিকস, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার - এই পাঁচ কোম্পানির শেয়ারের দর ৭০% থেকে ২০৭% পর্যন্ত বেড়েছে।
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল: ধূলোর নিচ থেকে স্বর্ণের উত্থান
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার ছিল প্রায় অচল। ২৯ অক্টোবর এর মূল্য ছিল মাত্র ৯ টাকা ৭০ পয়সা। প্রায় তিন মাস এই দামে ঘোরাফেরা করার পর, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় অবিশ্বাস্য উত্থান। ২০ মার্চ এক লাফে শেয়ারটি ৩১ টাকা ৩৫ পয়সায় উঠে আসে, যা বিনিয়োগকারীদের চোখ কপালে তুলেছে। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং: নাটকীয় উত্থান-পতনের খেলা
দুই বছর আগে খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের শেয়ার ৯ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয় রহস্যময় মূল্যবৃদ্ধি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এটি ৫৭ টাকা ছুঁয়ে ফেলে, তবে মার্চে এসে আবার নেমে আসে ৭ টাকা ২০ পয়সায়। তবে এখানেই শেষ নয়! কারসাজির ছোঁয়ায় আবারও ৪ ফেব্রুয়ারি এটি ৩৩ টাকা ২০ পয়সায় উঠে আসে। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সায়।
শাইনপুকুর সিরামিকস: টালমাটাল দামের জোয়ার
একসময় ৪৫ টাকায় লেনদেন হওয়া শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার ২০২৩ সালের অক্টোবর নাগাদ মাত্র ১০ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে যায়। এরপর নভেম্বরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও পুনরায় ১১ টাকার ঘরে নেমে আসে। তবে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় নতুন গল্প, যেখানে ২৩ মার্চ শেয়ারটি ২৭ টাকার ওপরে উঠে যায় এবং সর্বশেষ লেনদেন হয় ২৬ টাকা ২০ পয়সায়।
প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স: নামতে নামতে চূড়ায় উঠার গল্প
২০২৩ সালের জুন মাসে শেয়ারটির দর ছিল ১০৭ টাকা, যা পরে নেমে আসে ৩২ টাকা ৩০ পয়সায়। দীর্ঘদিন স্থির থাকার পর, জানুয়ারির শেষে থেকে আবারও উত্থান শুরু হয়। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সায়।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার: ধুলিস্যাৎ থেকে পুনর্জাগরণ
২০২৩ সালে ৩৮ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি ধীরে ধীরে নেমে আসে ১২ টাকা ২০ পয়সায়। এরপর ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি এটি ২৪ টাকার ওপরে উঠে এবং সর্বশেষ ২১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়।
এই পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর উত্থান-পতনের পেছনে অদৃশ্য শক্তির কারসাজির ইঙ্গিত মিলছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও, কারসাজিকারীরা বিপুল মুনাফা লুটছে। বিনিয়োগের আগে সচেতন থাকা এবং সঠিক বিশ্লেষণ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশে১৮, ২১ ও২২ ক্যারেট সোনার আজকের বাজার মূল্য
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- আরব আমিরাতে ২০২৫ ঈদুল আজহার ছুটি ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা