শেয়ারবাজারে টানা পতন: বিনিয়োগকারীদের মুখে হতাশার ছায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতদিন ধরে কমছে সূচক ও বাজার মূলধন, বাড়ছে আতঙ্ক—আস্থা ফিরবে কবে?
একটা সময় ছিল যখন সকাল হতেই চোখ থাকত টিকারের দিকে—লাল না সবুজ! কিন্তু এখন বিনিয়োগকারীদের সকালটা শুরু হয় দুশ্চিন্তা দিয়ে, শেষ হয় হতাশায়। দেশের শেয়ারবাজার যেন এখন একটি গভীর হতাশার খাত, যেখানে প্রতিদিনই ডুবে যাচ্ছে ছোট-বড় বিনিয়োগকারীর স্বপ্ন, ভেঙে পড়ছে হাজারো মুখ।
যেখানে ভরসা ছিল, এখন সেখানে ভয়!
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এখন যেন ভরসার ঘাটতি। প্রতিদিন সূচকের পতন, কমছে বাজার মূলধন, টান পড়েছে লেনদেনেও। লাভ তো এখন কল্পনাতীত, বরং মূলধন টিকিয়ে রাখাটাই হয়েছে সংগ্রামের নাম। কেউ বলছেন, 'বাজার নয়, যেন মানসিক যন্ত্রণা!'—এই হতাশা আজ ছড়িয়ে গেছে সবখানে।
ভিত্তিহীনরা উড়ছে, শক্ত ভিত্তিরা হোঁচট খাচ্ছে!
একদিকে মুনাফাহীন কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি, অন্যদিকে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের অযৌক্তিক পতন—এই বৈপরীত্যে বিনিয়োগকারীরা যেন বাকরুদ্ধ। প্রশ্ন জাগে, বাজারে কি আদৌ কোন ন্যায্যতা আছে?
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজারে নেই স্বচ্ছতা, নেই তদারকি। কারসাজির অভিযোগ নতুন নয়, কিন্তু প্রতিরোধের বাস্তব কোনো ছাপ আজও নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনেক পদক্ষেপই পড়ে যায় প্রশ্নের মুখে।
টানা ৭ দিন, পতনের এক দীর্ঘ শোকগাথা
আজ টানা সাত কর্মদিবস ধরে নিম্নমুখী দেশের শেয়ারবাজার। এই সময়েই ডিএসইর সূচক কমেছে ১৭৯ পয়েন্ট, বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৯ হাজার ২১৩ কোটি টাকা।
আজ ২২ এপ্রিল:
ডিএসইর সূচক কমেছে ১৮.২৭ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৫,০২৬-এ
ডিএসই শরীয়াহ সূচক কমেছে ৪.৬৭ পয়েন্ট, বর্তমানে ১,১২১
ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩.৫২ পয়েন্ট, বর্তমানে ১,৮৫৯
আজ লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকার, আগের দিনের তুলনায় কম।
৪০১ কোম্পানির মধ্যে:
বেড়েছে: ১১৯টি
কমেছে: ২১৪টি
অপরিবর্তিত: ৬৮টি
চট্টগ্রামও হাঁটছে সেই একই হতাশার পথে
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ হতাশাই প্রধান রঙ। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ০৭ লাখ টাকার, আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও সূচক কমেছে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৯.৮৯ পয়েন্ট, এখন ১৪,০৬৫ পয়েন্টে।
২২৪ কোম্পানির মধ্যে:
বেড়েছে: ৬৪টি
কমেছে: ১২৪টি
অপরিবর্তিত: ৩৩টি
বাজারে আস্থা ফিরবে কবে?
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু নজরদারি নয়, দরকার সুশাসন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো। কারণ, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসবে তখনই, যখন পুরোনোরা অন্তত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
আজ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের চোখে জল, মনে একটাই প্রশ্ন—‘এই কান্নার শেষ কোথায়?’
রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি