দুই কোম্পানিতে শেয়ারবাজার ডুবেছে : আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক অপ্রত্যাশিত ধস নামলো, যেখানে শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক এক নিমেষে ৫০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেলো। এ যেন এক ভীতিকর দৃশ্য, যেখানে হাজারো বিনিয়োগকারীর চোখে উদ্বেগের ছায়া, মনে আতঙ্কের ঢেউ। সূচক নেমেছে ৫ হাজারের নিচে, আর এর পিছনে দায়ী দুটি বড় কোম্পানি: ইস্টার্ন ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক।
ইস্টার্ন ব্যাংকের হাল: লভ্যাংশের সমন্বয়ে সঙ্কট
ইস্টার্ন ব্যাংক আজ এমন একটি পতন দেখিয়েছে, যা অভূতপূর্ব। শেয়ারের দাম কমেছে ২০.৭৪ শতাংশ! এ পতনই ডিএসইর সূচককে প্রায় ২১.৩১ পয়েন্ট নিচে নামিয়ে এনেছে। কেন এমনটা হলো? আসলে, কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের জন্য ঘোষিত ১৭.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ আজ শেয়ার দাম থেকে সমন্বয় করা হয়েছে। একদিকে সঙ্গত কারণে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের প্রভাব, অন্যদিকে বোনাস শেয়ারের আগমনের অপেক্ষা—সব কিছু মিলিয়ে এই পতন। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা। যে কারণে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে গেছে, এবং এই ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়েছে পুরো বাজারে।
ইসলামী ব্যাংকের দুর্দিন: ডিভিডেন্ড ঘোষণার আগাম ধাক্কা
এদিকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে কমেছে ৭.৪৯ শতাংশ। এর ফলে ডিএসই সূচক কমেছে ১৫.৪৮ পয়েন্ট। কোম্পানিটির বোর্ড সভা আগামী ২৮ এপ্রিল, যেখানে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা হতে যাচ্ছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিভিডেন্ডের ঘোষণা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে। একদিকে বোর্ড সভার আগেই কোম্পানির শেয়ার মূল্য কমে গেছে, অন্যদিকে বাজারের অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ: আতঙ্ক যেন মহামারির মতো
আজকের পতন শুধু দুটি ব্যাংক নয়, পুরো শেয়ারবাজারকে একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভাবতে শুরু করেছে, “এরপর কি আসবে?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে কোনো সংকট দেখা দিলে বিনিয়োগকারীদের মনোবল ভেঙে যায়, যা সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারকে নিম্নমুখী করে দেয়। আজকের এই পতন যেন এক সতর্কবার্তা—বাজারে রিয়েলি বড় পরিবর্তন আসছে, যদি না শিগগিরই কোন স্থিতিশীলতা আসে।
বাজারের ভবিষ্যৎ কী?
এখন প্রশ্ন হলো, কী হবে পরবর্তী দিনগুলোতে? পুঁজিবাজারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ারের মূল্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঠিক পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদী ভিশন প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে না গিয়ে, শেয়ার বাজারের মৌলিক দিকগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রাজিব/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)