ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে অনিয়ম সন্দেহে তদন্তে বিএসইসি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ০৮:২৭:৫৪
৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে অনিয়ম সন্দেহে তদন্তে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ ও দুটি মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনিয়মের সন্দেহে ইতিমধ্যে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের তা জানানো হয়েছে। গঠিত নয়টি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্তের আওতায় যেসব প্রতিষ্ঠান:

ব্রোকারেজ হাউজ:

১. সিটি ব্রোকারেজ

২. শান্তা সিকিউরিটিজ

৩. জয়তুন সিকিউরিটিজ

৪. ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ

৫. কেএইচবি সিকিউরিটিজ

৬. কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ

৭. ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ

মার্চেন্ট ব্যাংক:

১. আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট

২. প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট

কী কী বিষয় তদন্তে থাকবে:তদন্ত কমিটিগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলার কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে কি না, তা যাচাই করবে। পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হবে:

মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ও বৈধতা

বিও (Beneficiary Owners) অ্যাকাউন্টে নেগেটিভ ইক্যুইটি

মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে সংরক্ষিত প্রভিশনস এবং এর ঘাটতি

অনুমোদনহীন লেনদেনের অস্তিত্ব

প্রতিষ্ঠানগুলোর AML/CFT (Anti-Money Laundering/Counter-Terrorism Financing) ব্যবস্থা

২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত AML/CFT নীতিমালার কার্যকারিতা

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বড় গ্রাহক, ব্লক ও গ্রুপভিত্তিক লেনদেন, নগদ ও ব্যাংক হিসাব এবং ব্যবস্থাপনায় যুক্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকাও তদন্তের অংশ হবে।

বিএসইসির কৌশলগত অবস্থান:

নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করছে, বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অতীতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা থাকলেও বর্তমান কমিশন নেতৃত্বের শুরু থেকেই সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে।

কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা এবং আইনি কাঠামোর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এ ধরনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়মিত চালানো হবে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ