বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৬ কোম্পানির শেয়ারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির শেয়ারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশীদারির হার কমেছে। এই কোম্পানিগুলো হলো—বিচ হ্যাচারি, বেক্সিমকো ফার্মা, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, হাক্কানি পাল্প এবং স্কয়ার ফার্মা।
বিচ হ্যাচারি
এপ্রিল শেষে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১.১২ শতাংশ। মে মাসে তারা পুরো শেয়ার বিক্রি করে দেয়, ফলে মাস শেষে বিদেশি মালিকানা দাঁড়ায় শূন্যে। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ২.১২ শতাংশ কমে ১৬.৩৬ শতাংশে নেমে আসে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩.২৪ শতাংশ শেয়ার বাড়িয়ে ৪৮.৬৭ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
বেক্সিমকো ফার্মা
মাসের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ ২৭.৮১ শতাংশ থেকে ২৭.৬৭ শতাংশে নেমেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.৩৭ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ২৪.৭০ শতাংশে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ০.২৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যার ফলে তাদের মালিকানা ১৭.৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মে মাসে ০.২৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন, ফলে তাদের অংশীদারি ০.১৬ শতাংশে নেমে আসে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ০.৬৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৬.৬৩ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ০.৯৫ শতাংশ শেয়ার বাড়িয়ে ৩৭.৯০ শতাংশে নিয়েছেন।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মে মাসে সব শেয়ার বিক্রি করেছেন, এপ্রিল শেষে যা ছিল ০.১৬ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ০.৪৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৩.৯৯ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগ ০.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৮ শতাংশে। উদ্যোক্তা পরিচালকদের অংশীদারিও সামান্য বেড়ে হয়েছে ১৫.৪৩ শতাংশ।
হাক্কানি পাল্প
এপ্রিল শেষে ০.৯৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ মে মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৫ শতাংশে। একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ২.৫২ শতাংশ কমে ৪.৩৭ শতাংশ হয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩.৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনে তাদের মালিকানা বাড়িয়ে ৪৮.৩০ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
স্কয়ার ফার্মা
এপ্রিল শেষে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৫.২৬ শতাংশ, যা মে মাসে ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৫.১৬ শতাংশে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ০.১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩.৮৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ০.০৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন, ফলে তাদের অংশীদারি কমে ২৭.৩৭ শতাংশে নেমেছে।
উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর বিদেশি শেয়ার বিক্রির প্রবণতা প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কোথাও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে, আবার কোথাও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছেন। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগের এই গতিপথ ভবিষ্যতের বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন