ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

সেফুদা মারা গেছেন গুজব! ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন সত্য

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৫ ১৮:৫৮:২১
সেফুদা মারা গেছেন গুজব! ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন সত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত প্রবাসী ব্যক্তিত্ব সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যুর গুজব। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিনভর ফেসবুক ও ইউটিউবে নানা পোস্টে তার মৃত্যু দাবি করে শোক জানানো হয়। তবে রাতে নিজেই ফেসবুক পোস্ট ও লাইভে এসে এসব গুজব মিথ্যা বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

নিজের পোস্টেই জানান ‘আমি বেঁচে আছি’

২৪ জুলাই রাত ১০টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে সেফুদা লেখেন—“তোরা আমাকে বারবার মেরে ফেলিস কেন গরিবেরা?”

এই এক লাইনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার ক্ষোভ ও হতাশা। মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়। প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় পর্যন্ত পোস্টটিতে রিঅ্যাক্ট করেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী, কমেন্ট পড়েছে ২৩ হাজার ২০০টিরও বেশি, আর শেয়ার হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার বার।

ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানো নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া

শুধু পোস্টেই নয়, ফেসবুক লাইভে এসেও তিনি এসব গুজবের কড়া প্রতিবাদ জানান। লাইভে সেফুদা বলেন,

“আমাদের সবার প্রিয় সেফুদা ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন—এই অপূর্ব ইসলামিক ভাষায় মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে কিছু ফেসবুক-ইউটিউবার অনেক টাকা কামিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ গুজব। দেশের এক শ্রেণির নব্য রাজাকার ও আলবদররা এসব করছে। আমি একদম ঠিক আছি। বরং আগের চেয়ে আরও ২০ বছর বয়স কমে গেছে।”

চাঁদপুরের সন্তান সেফুদা

সেফুদার পূর্ণ নাম সেফাত উল্লাহ। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চেড়িয়াড়া গ্রামে। তিনি প্রয়াত হাজি আলী আকবরের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গুজবটি ছড়ানোর পরপরই পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তার চাচাতো ভাই আবু সালেহ মো. সেলিম গণমাধ্যমকে জানান—

“আজ সরাসরি আমার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে বিকেলে তার ফুফাতো ভাই ও ওয়ারুক বাজার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি ইরানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। সেফুদা ফোন করে জানিয়েছেন, মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে—সেটা জানিয়ে তিনি খোঁজ নিয়েছেন।”

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ এই গুজব ছড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, একজন জীবিত মানুষকে নিয়ে এমন তথ্য ছড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই ইউটিউব-ফেসবুকের ভুয়া কনটেন্ট নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

একজন বিতর্কিত হলেও জনপ্রিয় মানুষকে ঘিরে গুজব ছড়ানো যেমন অনৈতিক, তেমনি জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে—যাতে এমন বিভ্রান্তি আর না ছড়ায়। সেফুদা নিজেই সরাসরি বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট করায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

জামিরুল ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ