ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

​রহিমা ফুডের শেয়ার দামে রহস্যজনক উত্থান, উঠছে কারসাজির অভিযোগ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ১৬:৪২:৪২
​রহিমা ফুডের শেয়ার দামে রহস্যজনক উত্থান, উঠছে কারসাজির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রহিমা ফুডের শেয়ারদামে সম্প্রতি চোখধাঁধানো উত্থান নিয়ে বাজারজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির দুর্বল আর্থিক পারফরম্যান্স ও উৎপাদন ইউনিট বন্ধের ঘোষণার পরও শেয়ারের এমন অস্বাভাবিক গতি নিয়ে উঠেছে কারসাজির অভিযোগ।

এক নজরে দাম উঠানামা

৩ মে শেয়ারটি লেনদেন হয় ৭৪.২০ টাকায়। পরদিন, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আয় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দেখা যায়, কোম্পানির EPS নেমে এসেছে মাত্র ১০ পয়সায়, যেখানে আগের বছর ছিল ২৪ পয়সা। বাজারে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় দর নেমে যায় ৬৮ টাকার নিচে।

এরপর কিছুদিনের মধ্যেই দাম ঘুরে দাঁড়ায় এবং ওঠে প্রায় ৯০ টাকায়। তবে এই সময়েই আসে কোম্পানির নারিকেল তেল ইউনিট বন্ধের ঘোষণা—যা আবার দর পতনের দিকে ঠেলে দেয়।

৭ জুলাই থেকে শুরু অস্বাভাবিক গতি

৭ জুলাই হঠাৎ করে শুরু হয় শেয়ারটির অস্বাভাবিক উত্থান। কয়েক দিন বিক্রেতা সংকটে শেয়ারটি 'হল্টেড' হয়। ডিএসই এ বিষয়ে কোম্পানির কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তারা জানান, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

এই বক্তব্য বাজারে আরও ধোঁয়াশা তৈরি করে। কয়েক দিনের বিরতির পর আবারও শুরু হয় উর্ধ্বমুখী গতি। বাজার যখন দুর্বল অবস্থায়, তখন রহিমা ফুড যেন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কেন্দ্রে।

আজ শেয়ারটি লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ১৪৮.৮০ টাকায় এবং ক্লোজ হয় ১৪৪.৮০ টাকায়, যা ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিশ্লেষকদের চোখে শঙ্কার ইঙ্গিত

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি "স্বাভাবিক নয়"। কোম্পানির EPS কমে যাওয়া, উৎপাদন ইউনিট বন্ধ এবং কর্তৃপক্ষের দায়সারা জবাব—সব মিলে স্পষ্ট কারসাজির আশঙ্কা করছেন তারা।

বর্তমানে শেয়ারটির P/E রেশিও দাঁড়িয়েছে ৪১৭.৬৯, যা কোনোভাবেই বিনিয়োগযোগ্য অবস্থান নয়।

তদন্ত দাবি

বিশেষজ্ঞদের মতে, রহিমা ফুডের শেয়ার ঘিরে যেকোনো ধরনের বাজার কারসাজি দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত। তা না হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

জামিরুল ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ