ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

আদৌ কি ১২০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যাবে জানালো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৮ ১২:৫৩:৫৩
আদৌ কি ১২০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যাবে জানালো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় বাজারে গরুর মাংসের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১২০ টাকা কেজি দরে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। এ খবর ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এটিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে একজন সাধারণ মানুষকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমূল্যের কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের পাতে গরুর মাংস ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্রয়লার মুরগির দিকে ঝুঁকছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিল থেকে কম দামে গরুর মাংস আমদানির খবরটি তাদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল।

তবে মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকার ব্রাজিল বা অন্য কোনো দেশ থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, ব্রাজিল বাংলাদেশকে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে—এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রায় ১৫ লাখ প্রান্তিক খামারি এবং ৬ লাখ মৌসুমী খামারি কোরবানির ঈদের মতো মৌসুমে স্থানীয়ভাবে গবাদি পশুর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। প্রাণিসম্পদ খাত শুধু মাংস উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি নারীর ক্ষমতায়ন, আত্মকর্মসংস্থান, দারিদ্র্য নিরসন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, দেশে এখনো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হিমায়িত মাংস সংরক্ষণ ও পরিবহন অবকাঠামো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। ফলে বিদেশ থেকে মাংস আমদানির ক্ষেত্রে কোল্ড চেনের দুর্বলতার কারণে মান নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। একইসঙ্গে বিদেশি মাংসের মাধ্যমে খুরা রোগ (Foot-and-Mouth Disease), ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease), এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (Avian Influenza)-এর মতো রোগজীবাণুর অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও রয়েছে।

স্থানীয় খামারিদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদন উপকরণ বিতরণ, বাজার সংযোগ স্থাপন এবং জাত উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ