ঢাকা, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২

MD Zamirul Islam

Senior Reporter

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকা!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৫:৪৮:২৯
১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকা!

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকার কমে বিক্রি হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

ভোক্তাদের পকেট কেটে এলপিজি সিলিন্ডারের অতিরিক্ত মুনাফা রোধে এবার সরাসরি মাঠে নামছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এলপিজি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, "যে এলপিজি সিলিন্ডার ১২০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা, তা ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অতিরিক্ত মুনাফার দায়ভার ব্যবসায়ীদেরই নিতে হবে। দায়বদ্ধতা ছাড়া ব্যবসা চলতে পারে না। আমাদের লক্ষ্য, ১২ কেজির একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার নিচে নামিয়ে আনা।"

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে "বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা" শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ পলিসি কনক্লেভে এই মন্তব্য করেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বর্তমান জ্বালানি সংকটে এলপিজিকে একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে দেখছেন। তবে, এর উচ্চ মূল্যকে তিনি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, কারণ এটি মূলত বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, "অতিরিক্ত মুনাফা লোভে সম্পদের পাহাড় গড়ে বিদেশে অর্থ পাচারের মানসিকতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসতে হবে।"

দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকটের জন্য এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল। তিনি অভিযোগ করেন, "জ্বালানি নিশ্চিত না করেই যথেচ্ছভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস খাতে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন রাজনীতিকরাই।"

দেশে জ্বালানি অনুসন্ধান কাজ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) জন্য নতুন রিগ কেনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এই উন্নতি সন্তোষজনক নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এসব কারণে বাধ্য হয়ে চড়া দামের এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। উপদেষ্টা আরও বলেন, "এলএনজি রূপান্তরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন এফএসআরইউ এর চেষ্টা করা হচ্ছে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন্য খাতে কীভাবে এলপিজি ব্যবহার করা যায়, সেটা বের করতে হবে।"

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ