ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৯:১০:২৫
সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা

সরকারি ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা বৈষম্যহীন নবম পে স্কেলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে '১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম' এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছে, যা লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

প্রস্তাবিত বেতন ও ভাতার বিস্তারিত

ফোরামের পক্ষ থেকে ১৩ গ্রেডের নতুন বেতন কাঠামোর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

বাড়িভাড়া ভাতা: ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় মূল বেতনের ৮০ শতাংশ, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৬০ শতাংশ।

চিকিৎসা ভাতা: ৬ হাজার টাকা।

শিক্ষা ভাতা: সন্তান প্রতি ৩ হাজার টাকা।

যাতায়াত ভাতা: ঢাকায় ৩ হাজার টাকা ও অন্যান্য এলাকায় ২ হাজার টাকা।

ইউটিলিটি ভাতা: ২ হাজার টাকা।

টিফিন ভাতা: দৈনিক ১০০ টাকা (মাসে ২২০০ টাকা)।

বৈশাখী ভাতা: ৫০ শতাংশ।

ঝুঁকি ভাতা: ২ হাজার টাকা।

বিশেষ ভাতা: পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মচারীদের জন্য অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ।

পেনশন ও আনুতোষিকের হার বৃদ্ধির দাবি

চাকরিজীবীরা পেনশন সুবিধা বিদ্যমান ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অবসরকালীন জীবনে আর্থিক সুরক্ষা বাড়াবে।

ন্যায্যতার দাবি এবং হুঁশিয়ারি

'১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম'-এর সভাপতি মো. লুৎফর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে কর্মচারীরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের পে স্কেলে যে ব্যাপক বৈষম্য ছিল, তা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের গত ১০ বছরে দুটি পে স্কেল থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই বর্তমান বাজারদর ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি বৈষম্যমুক্ত, বাস্তবসম্মত ও ন্যায্য বেতন কাঠামো প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, নবম পে কমিশন গঠনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রশংসনীয়, এবং এবার কর্মচারীরা একটি প্রকৃত অর্থেই ন্যায্য কাঠামো প্রত্যাশা করেন।

এই দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপ এবং সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন কাঠামো কেমন হয়, তা এখন দেখার বিষয়।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ