ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা আওয়ামী লীগ জানালেন নির্বাচন কমিশনার

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৯:০২:২৩
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা আওয়ামী লীগ জানালেন নির্বাচন কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, "কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে।

তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।" তবে, প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এর অর্থ হলো, আওয়ামী লীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে ইসির নিবন্ধিত এই দলটি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। যদিও ইসি সানাউল্লাহ সরাসরি আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ করেননি, তবে স্থগিত থাকা দলের বিষয়ে ইসির অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছেন।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনীতে নতুন বিধান

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন প্রসঙ্গে বলেন, এই সংশোধনীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন।

এছাড়া, আরপিও-এর সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি ঘোষিত হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লাভজনক পদে যারা আছেন বলে গণ্য হবেন এবং যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে ইসি পরে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। পাশাপাশি প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনে ‘না’ ভোট থাকবে ব্যালটে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। মিডিয়ার ব্যক্তিরা ভোট গণনায় থাকতে পারবেন। নির্বাচনী পোস্টার বাতিল করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। এছাড়াও, কার্যক্রম নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিত থাকবে ও প্রতীক সংরক্ষিত থাকবে।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ