ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী কার কত বেতন বাড়ছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১২ ০৯:০৫:০০
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী কার কত বেতন বাড়ছে

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত মহার্ঘ ভাতা অবশেষে কার্যকর হচ্ছে। এবারের ভাতার বিশেষত্ব হলো, এটি প্রথমবারের মতো গ্রেড অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে – যেখানে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা তুলনামূলক বেশি এবং উচ্চ গ্রেডের কর্মকর্তারা কম হারে সুবিধা পাবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এই বেতন বৃদ্ধিতে সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

ভাতার বিস্তারিত বিভাজন:

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বিভিন্ন গ্রেডের জন্য মহার্ঘ ভাতার হার নিম্নরূপ:

১ থেকে ৩য় গ্রেড: মূল বেতনের ১০ শতাংশ।

৪ থেকে ১০ম গ্রেড: মূল বেতনের ২০ শতাংশ।

১১ থেকে ২০ম গ্রেড: মূল বেতনের ২৫ শতাংশ।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কোনো সরকারি চাকরিজীবীই ৪,০০০ টাকার কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন না। তবে, এই নতুন ভাতা কার্যকর হওয়ার পর, সরকারের দেওয়া পূর্ববর্তী ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা আর বহাল থাকবে না। শুধু চাকরিজীবীরাই নন, পেনশনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই মহার্ঘ ভাতার আওতায় আসবেন এবং এটি তাদের ইনক্রিমেন্টের সময় মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের সময়সূচি:

অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, বর্ধিত ভাতার অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থায়ন করা হবে। লক্ষ্য রাখা হয়েছে যে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গেই এই বর্ধিত ভাতা কার্যকর করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন যে, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে, যদিও সুনির্দিষ্ট হার এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পে-স্কেলের পর মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় পদক্ষেপ:

২০১৫ সালের পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন আর বাড়েনি। এই দীর্ঘ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। এই ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় সরকারি চাকরিজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতায় মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয়টি পর্যালোচনা করে একটি কমিটি এই সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করেছে। এই পদক্ষেপ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক বোঝা কিছুটা লাঘব করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ