ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বিনা খরচে খতিয়ান ভুল সংশোধন? জানুন নতুন সরকারি নিয়ম

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৬:৩৯:২৭
বিনা খরচে খতিয়ান ভুল সংশোধন? জানুন নতুন সরকারি নিয়ম

দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অবসানে ভূমি মালিকদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে সরকার। এখন থেকে রেকর্ড খতিয়ান ও দলিলের ৫ ধরনের গুরুতর ভুল সংশোধনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। বিনা খরচে এই সেবা মিলবে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, যা ভূমি মালিকদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে।

অতীতে এই ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য ভূমি মালিকদের বছরের পর বছর ধরে আইনি লড়াই চালাতে হতো। মামলার পেছনে যেমন বিপুল অর্থ খরচ হতো, তেমনি অনেক সময় জীবদ্দশায়ও সমস্যার সমাধান মিলত না। সরকারের এই সাহসী পদক্ষেপ লাখো ভূমি মালিককে এমন অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যেসব ভুল সংশোধনের আওতাভুক্ত:

নতুন এই প্রক্রিয়ায় নিম্নোক্ত পাঁচ ধরনের করণিক ভুল সংশোধন করা যাবে:

১. নামের ত্রুটি: মালিক, পিতা-মাতা বা স্বামী-স্ত্রীর নামের বানানে গরমিল।

২. ঠিকানার অসঙ্গতি: ঠিকানা বা অন্যান্য দাপ্তরিক ভুল।

৩. অংশের তারতম্য: সম্পত্তির অংশে কম-বেশি বসে যাওয়া (যেমন, ৫০-এর স্থলে ৫০০ লেখা)।

৪. জমির শ্রেণী বিভ্রাট: ধানিজমিকে বাস্তুভিটা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা।

৫. দাগ নম্বরের ভুল: মূল দাগের পরিবর্তে অন্য কোনো দাগ নম্বর বসে যাওয়া।

এই ভুলগুলো সংশোধনের জন্য ভূমি মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমাণাদি সহ সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড কার্যালয়ে একটি আবেদন জমা দিতে হবে।

সরকারের তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট-এর ১৪৩ ও ১৪৪ ধারার ক্ষমতা বলে মাঠ পর্যায়ের এসিল্যান্ডদের এই ভুল সংশোধনের ক্ষমতা দিয়েছে। এটি ভূমি প্রশাসনকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করার একটি বড় পদক্ষেপ।

বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন:

ভূমি বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই নতুন পদ্ধতি কার্যকর হলে লক্ষ লক্ষ ভূমি মালিকের বহুমুখী ভোগান্তি কমে যাবে, এবং তারা দ্রুত ও সহজে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

ভূমি মালিকদের প্রতি আহ্বান:

ভূমি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, দলিলের ভুল ধরা পড়লে মামলার পথে না হেঁটে সরাসরি এসিল্যান্ড কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সহ আবেদন জানানোর জন্য। এটি তাদের জন্য একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হবে।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ