ঢাকা, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২

‘আওয়ামী লীগ ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ নিয়ে ডিএমপি’র বিবৃতি

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৮:৫৮:৫২
‘আওয়ামী লীগ ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ নিয়ে ডিএমপি’র বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি সংবাদ নিয়ে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয় যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে আটক করতে পারলে পুলিশ সদস্যদের পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে। ডিএমপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনার তথ্য নেই।

আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, "আমাদের পুলিশ সদস্যরা যখন কোনো ভালো কাজ করেন, আমরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের সেই কাজের প্রশংসা করি এবং উৎসাহিত করে থাকি। পুলিশ প্রবিধানে ভালো কাজের জন্য আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার বিধানও রয়েছে। এটি মূলত তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।"

তিনি আরও যোগ করেন, "তবে, বিশেষভাবে কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে নেতাকর্মীদের আটকের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা সবসময়ই আইনের মধ্যে থেকে এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো ভালো কাজের জন্য পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করে থাকি।"

রাজধানীতে সিসিটিভি নজরদারি জোরদার: অপরাধ দমনে দুই হাজারের বেশি ক্যামেরা সক্রিয়

একই ব্রিফিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডিএমপি'র নিজস্ব উদ্যোগে রাজধানীতে ৬০০টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। এই ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।

এর পাশাপাশি, গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং নিকেতন সোসাইটির মতো অভিজাত এলাকাগুলোতে সেখানকার এলওসিসি (ল অ্যান্ড অর্ডার কমিউনিকেশন কমিটি) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১২০০ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। এই ক্যামেরাগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

তালেবুর রহমান বলেন, "বর্তমানে রাজধানীতে মোট দুই হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় আছে। আমরা আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরার আওতা আরও বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যা অপরাধ দমনে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।"

ডিএমপি'র এই বক্তব্য গুজব প্রতিরোধে এবং জনমনে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ