ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

MD Zamirul Islam

Senior Reporter

আসছে বছরের প্রথম সুপারমুন 'হার্ভেস্ট মুন' – বাংলাদেশেও দেখা যাবে যে দিন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ০৯:০১:৪৯
আসছে বছরের প্রথম সুপারমুন 'হার্ভেস্ট মুন' – বাংলাদেশেও দেখা যাবে যে দিন

রাতের আকাশের এক অসাধারণ দৃশ্যের সাক্ষী হতে প্রস্তুত হন! আগামী ৬ অক্টোবর, ২০২৫, পৃথিবীর আকাশে উদিত হবে এ বছরের প্রথম সুপারমুন, যা 'হার্ভেস্ট মুন' নাম পরিচিত। চাঁদ এদিন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসবে, যার ফলে এটিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অগণিত মানুষ এই মহাজাগতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

হার্ভেস্ট মুন কী এবং কেন এটি বিশেষ?

জ্যোতির্বিদরা ব্যাখ্যা করেছেন, 'হার্ভেস্ট মুন' হলো শরৎকালের শুরুর দিকে বা শারদ বিষুবের কাছাকাছি সময়ে দেখা যাওয়া পূর্ণিমা। এই সময়ে সূর্য যখন নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে এবং দিন-রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হয়, তখন পূর্ণিমার চাঁদ দিগন্তের কাছাকাছি এক বিশেষ সোনালি-কমলা আভা নিয়ে ঝলমল করে ওঠে। এই দৃশ্যটি এতটাই মনোমুগ্ধকর হয় যে এটি বিশ্বজুড়ে মহাকাশপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি করে।

কখন এবং কীভাবে দেখবেন এই সুপারমুন?

চলতি বছর মোট তিনটি সুপারমুন দেখার সুযোগ থাকছে, যার মধ্যে অক্টোবরের এই 'হার্ভেস্ট মুন' প্রথম। বাংলাদেশের আকাশেও ৬ ও ৭ অক্টোবর—এই দুই রাতেই সুপারমুনের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাঁদ যখন দিগন্তের কাছাকাছি থাকবে, তখন এটিকে আরও বিশাল ও গাঢ় রঙের দেখাবে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, এই অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশের নিচে দিগন্তের দিকে তাকালেই এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। তবে, শহরের আলোর দূষণ থেকে দূরে অপেক্ষাকৃত অন্ধকার এলাকায় গেলে চাঁদের এই রূপ আরও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে।

নামকরণের পেছনের গল্প: 'হার্ভেস্ট মুন' কেন বলা হয়?

'হার্ভেস্ট মুন' নামটি এসেছে প্রাচীন কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে। যখন বিদ্যুৎ বা আধুনিক আলোর ব্যবস্থা ছিল না, তখন কৃষকেরা ফসল তোলার মৌসুমে সন্ধ্যার পরেও এই উজ্জ্বল পূর্ণিমার আলো ব্যবহার করে মাঠে কাজ করতেন। ফসল কাটার কাজে এই চাঁদের আলো তাদের জন্য ছিল আশীর্বাদের মতো। সেই থেকেই এই বিশেষ পূর্ণিমাটি 'হার্ভেস্ট মুন' নামে পরিচিতি লাভ করে।

৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় আপনার চোখ থাকুক আকাশের দিকে, কারণ প্রকৃতির এই অপরূপ মহাজাগতিক প্রদর্শনী আপনার মনে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি এঁকে দেবে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ