ঢাকা, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

বাইকের আয়ু বাড়াতে চান? এই ৮ সার্ভিসিং টিপস আপনার জন্য!

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৮:৪২:১৭
বাইকের আয়ু বাড়াতে চান? এই ৮ সার্ভিসিং টিপস আপনার জন্য!

প্রতিদিনকার সঙ্গী আপনার প্রিয় বাইক। অফিস, বাজার বা পছন্দের গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই চাকার এই যানটি আপনার ভরসা। কিন্তু ব্যস্ততার মাঝে অনেকেই বাইকের যত্নের কথা ভুলে যান। ফলস্বরূপ, কিছুদিনের মধ্যেই বাইকের ছোটখাটো সমস্যা শুরু হয়, যা মাঝপথে আপনাকে ফেলতে পারে নানা ঝামেলায়।

চিন্তা নেই! নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার পুরোনো বাইকও থাকবে নতুনের মতো সতেজ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাইকের কোন অংশের সার্ভিসিং কখন বা কতদিন পর করানো উচিত? চলুন জেনে নিই আপনার বাইকের কোন অংশ কতদিন পর পর সার্ভিসিং করাবেন, যাতে আপনার শখের বাইকটি থাকে সবসময় সেরা অবস্থায়।

১. ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন: বাইকের প্রাণের রসায়ন

বাইকের ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে ইঞ্জিন অয়েল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১,০০০-১,৫০০ কিলোমিটার চালানোর পর অথবা অন্তত মাসে একবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা আবশ্যক। এটি আপনার বাইকের ইঞ্জিনকে দীর্ঘস্থায়ী করবে এবং মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।

২. এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার/পরিবর্তন: শ্বাস-প্রশ্বাসে সতেজতা

ইঞ্জিনে বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ নিশ্চিত করে এয়ার ফিল্টার। প্রতি ৩,০০০-৪,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর এটি পরিষ্কার করা উচিত। প্রয়োজনে এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করুন, এতে ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

৩. চেইন লুব্রিকেশন ও টেনশন অ্যাডজাস্ট: মসৃণ গতির রহস্য

বাইকের চেইন পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রতি ৫০০-৭০০ কিলোমিটার চালানোর পর চেইন পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার ময়লা পরিষ্কার করে পুনরায় লুব্রিকেট করুন। এতে চেইন দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং বাইক চলবে মসৃণ গতিতে।

৪. ব্রেক প্যাড/শু পরিবর্তন: নিরাপত্তার প্রথম ধাপ

নিরাপদ বাইক চালানোর জন্য ভালো ব্রেক অপরিহার্য। প্রতি ৮,০০০-১০,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর বাইকের ব্রেক প্যাড/শু পরিবর্তন করুন। এতে ব্রেকিং সিস্টেম শক্তিশালী থাকবে এবং দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।

৫. স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন: সঠিক ইগনিশনের চাবিকাঠি

স্পার্ক প্লাগ ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি ১০,০০০-১২,০০০ কিলোমিটার চালানোর পর স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন করা উচিত। এতে বাইকের স্টার্ট নিতে সুবিধা হবে এবং ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ভালো থাকবে।

৬. টায়ার চেক ও প্রেশার মেইনটেইন: স্থিতিশীলতার ভিত্তি

বাইকের টায়ার এবং এর সঠিক চাপ আপনার নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা এবং সুরক্ষার জন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় করুন।

৭. ক্লাচ কেবল ও ব্রেক কেবল: নিয়ন্ত্রণ ও সাচ্ছন্দ্য

ক্লাচ কেবল ও ব্রেক কেবল বাইকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বছরে একবার এই কেবলগুলো পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে বদলান। এতে ক্লাচ ও ব্রেক উভয়ই মসৃণভাবে কাজ করবে।

৮. ব্যাটারি চেক: বিদ্যুতের সঠিক প্রবাহ

বাইকের ব্যাটারি ও ইঞ্জিন সুস্থ রাখতে প্রতি ৬ মাসে অন্তত একবার এগুলো পরীক্ষা করুন। ব্যাটারির সঠিক কার্যকারিতা বাইকের ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য।

৯. প্রতিবার যাত্রার আগে জরুরি পরীক্ষা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রতিবার বাইক নিয়ে বের হওয়ার আগে এর ব্রেক, দ্রুত রিলিজ এবং বাইকের সাধারণ অবস্থা পরীক্ষা করে নিন। এটি আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা থেকে বাঁচাবে এবং আপনার যাত্রাকে করবে আরও নিরাপদ ও আনন্দদায়ক।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ