ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

তালিকাভুক্ত কোম্পানির রেকর্ড মুনাফা সত্ত্বেও লভ্যাংশ নিয়ে প্রশ্ন!

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১০:০৪:০৪
তালিকাভুক্ত কোম্পানির রেকর্ড মুনাফা সত্ত্বেও লভ্যাংশ নিয়ে প্রশ্ন!

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যতম প্রধান ফার্মা ও রসায়ন কোম্পানি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য তাদের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ৬৩ কোটি টাকারও বেশি নিট মুনাফা অর্জন করে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। তবে, এই বিপুল আয়ের তুলনায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ মাত্র ২০ কোটি টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

বৃহৎ মুনাফায় ক্ষুদ্র লভ্যাংশের ছায়া

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩৩৫তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। একই সাথে, বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে, প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৬ টাকা ৪০ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সব মিলিয়ে, এই লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২০ কোটি টাকা।

বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের অর্জিত মোট নিট মুনাফার মাত্র ৩২.৫৮ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে। মুনাফার একটি বড় অংশ রিজার্ভ তহবিলে রেখে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তে অনেক বিনিয়োগকারী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, কোম্পানির অসাধারণ মুনাফার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করা উচিত ছিল।

তুলনামূলক চিত্র: সামান্য উন্নতি, তবুও রিজার্ভে নজর

গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সেবার কোম্পানিটি তাদের নিট মুনাফার ২৯.৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করেছিল। এই বছর সেই হার সামান্য বেড়ে ৩২.৫৮ শতাংশ হয়েছে। এই সামান্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও, মুনাফার একটি বিশাল অংশ আবারও লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে রিজার্ভে রাখা হয়েছে, যা লভ্যাংশ-কেন্দ্রিক বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার কারণ।

ইপিএস-এ মিশ্র প্রবণতা

প্রতি শেয়ার আয় (ইপিএস) বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ২০ পয়সা, এবং একক ইপিএস ২১ টাকা ১৩ পয়সা। এর আগের বছর, সমন্বিত ইপিএস ছিল ২১ টাকা ৪৬ পয়সা এবং একক ইপিএস ছিল ২০ টাকা ৯৭ পয়সা। এই তথ্যে প্রতীয়মান হয় যে, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের লোকসান সম্ভবত কোম্পানির সামগ্রিক সমন্বিত মুনাফায় কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এজিএম এবং রেকর্ড ডেট

ঘোষিত ৬৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ আলোচ্য অর্থবছরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলি আগামী ২৩ নভেম্বর সকাল ৯:৩০টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। এই লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ অক্টোবর।

বিনিয়োগকারীরা এখন অধীর আগ্রহে এজিএমের দিকে তাকিয়ে আছেন, যেখানে লভ্যাংশ নীতিমালা এবং রিজার্ভ ব্যবহারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ