ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

বিনিয়োগকারীদের মুখের হাঁসি কড়ে নিল তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির শেয়ার

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ২২:০৩:৩৬
বিনিয়োগকারীদের মুখের হাঁসি কড়ে নিল তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির শেয়ার

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখন গভীর সংকটে পড়েছেন। লাগাতার দরপতনের কারণে তাঁদের লোকসানের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, আর অনেক কোম্পানির শেয়ার দর এখন ফেসভ্যালুর থেকেও নিচে নেমে এসেছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সর্বনিম্ন দরেও এই শেয়ারগুলোর কোনো ক্রেতা মিলছে না, যার ফলস্বরূপ কোম্পানিগুলোর লেনদেন হল্টেড হয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস, ৮ অক্টোবর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই ৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ক্রেতাশূন্যতার কারণে হল্টেড হয়েছে বলে স্টকনাউ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ক্রেতা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৯টি কোম্পানি হলো:

আজ ডিএসইতে যে ৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ক্রেতাশূন্যতার কারণে হল্টেড হয়েছে, সেগুলো হলো:

ইউনিয়ন ব্যাংক

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL)

এক্সিম ব্যাংক

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

পিপলস লিজিং

ফারইস্ট ফাইন্যান্স

প্রিমিয়ার লিজিং

ফ্যামিলি টেক্স

শেয়ার দরের ভয়াবহ চিত্র:

এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজ সবচেয়ে বড় দরপতন দেখেছে ইউনিয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটির শেয়ার দর আজ ২০ পয়সা বা ৯.০৯ শতাংশ কমে ২ টাকায় ঠেকেছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর কমেছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক-এর। এই ব্যাংকটির শেয়ার ৫০ পয়সা বা ৮.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২০ পয়সায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে এক্সিম ব্যাংক-এর শেয়ারে। ব্যাংকটির ৪০ পয়সা বা ৮.৫১ শতাংশ দর কমে আজ ৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন বন্ধ হয়।

অন্যান্য কোম্পানিগুলোর আজকের দরের চিত্র (পতন):

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক: ২০ পয়সা বা ৮ শতাংশ কমে ২ টাকা ৩০ পয়সা।

ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩০ পয়সা বা ৭.৮৯ শতাংশ কমে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।

পিপলস লিজিং: ১০ পয়সা বা ৭.৬৯ শতাংশ কমে ১ টাকা ২০ পয়সা।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স: ১০ পয়সা বা ৬.৬৭ শতাংশ কমে ১ টাকা ৪০ পয়সা।

প্রিমিয়ার লিজিং: ১০ পয়সা বা ৬.২৫ শতাংশ কমে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

ফ্যামিলি টেক্স: ১০ পয়সা বা ৫.৫৬ শতাংশ কমে ১ টাকা ৭০ পয়সা।

বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ এবং বাজারের অস্থিরতা:

এই ভয়াবহ চিত্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফেসভ্যালুর নিচে শেয়ারের দর নেমে আসা এবং বিক্রি করতে না পারার কারণে তাঁদের লোকসানের বোঝা বেড়েই চলেছে। বাজারের এই অস্থিরতা শুধু ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের পুঁজিবাজারের আস্থা এবং স্থিতিশীলতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাজার বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বলছেন, দ্রুত এর সমাধান না হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার কঠিন হবে।

আব্দুর রহিম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ