ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৫:১৫:৩৫
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর

দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য একটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর এসেছে। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিসা সহজীকরণ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত এবং সুগম করা। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বাংলাদেশের কনসাল-জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন দিগন্তের হাতছানি

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন। কনসাল-জেনারেল রাশেদুজ্জামান জানান, ভিসা জটিলতার কারণে এই সংখ্যা গত কয়েক বছর ধরে প্রায় স্থবির হয়ে আছে। তবে, এই নতুন আলোচনার মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হলে আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এটি কেবল বাংলাদেশি কর্মীদের জন্যই নয়, দুই দেশের অর্থনীতিকেও সমানভাবে উপকৃত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রবাসীদের দোরগোড়ায় কনস্যুলার সেবা

বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রবাসীদের সেবায় বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে, শনিবার, রবিবার এবং শুক্রবার — এই তিন দিন বিভিন্ন আমিরাতে "মোবাইল কনস্যুলার সার্ভিস" পরিচালনা করা হচ্ছে। এই সেবার মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী প্রবাসীরাও সহজেই কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। রাশেদুজ্জামান বলেন, "আমাদের টিম এখন বিভিন্ন আমিরাতে গিয়ে অন-দ্য-স্পট কনস্যুলার পরিষেবা দিচ্ছে। এতে শ্রমিকদের মূল্যবান সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।"

পাশাপাশি, কনস্যুলেটে একটি বিশেষ সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো অশিক্ষিত শ্রমিকদের দালালদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করা এবং তাদের সঠিক তথ্য ও সহায়তা প্রদান করা। এই উদ্যোগটি প্রবাসীদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

CEPA আলোচনা: অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

ভিসা সহজীকরণের পাশাপাশি, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (Comprehensive Economic Partnership Agreement - CEPA) নিয়েও আলোচনা চলছে। এই চুক্তি সফল হলে দুই দেশের বর্তমান ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে কনসাল-জেনারেল আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ এবং হালাল মাংস শিল্পে আমিরাত থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণে আগ্রহী। CEPA চুক্তি এই খাতগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই আলোচনার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং দুই দেশের মধ্যে আরও সুদৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে আশা করা যায়।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ