ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন নিয়ে নতুন প্রস্তাব, বাড়ছে দাবি-পত্রের সংখ্যা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৫ ১৯:৪৭:০৩
পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন নিয়ে নতুন প্রস্তাব, বাড়ছে দাবি-পত্রের সংখ্যা

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে স্কেল নিয়ে এখন উত্তপ্ত আলোচনা চলছে। সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ২১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন।

একই সঙ্গে বছরে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধিরও দাবি তুলেছে সংগঠনটি।

ফেডারেশনের দাবি ও যুক্তি

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া বলেন,

“২০১৫ সালে কার্যকর হওয়া অষ্টম পে স্কেলে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তার অবসান চাই। আমরা চাই, নবম পে স্কেল হবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত কাঠামো।”

তিনি আরও বলেন,

“বেতন কমিশনের উচিত দেশের বর্তমান বাজারব্যবস্থা, ছয় সদস্যের পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় ও পেশাগত বৈষম্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

ফেডারেশন নবম পে স্কেলে মোট ২১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—

সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা

সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা

বছরে ১০% স্বয়ংক্রিয় ইনক্রিমেন্ট

শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধি

অবসর সুবিধা ও গ্র্যাচুইটির হার বাড়ানো

ফার্মাসিস্টদের প্রস্তাব

এদিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) আলাদা প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকাই রাখা হয়েছে, তবে গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ২০ থেকে ১২টি করার দাবি জানানো হয়েছে।

বিডিপিএ জানিয়েছে,

“নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করতে হবে এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪-এর মধ্যে রাখতে হবে।”

তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, কমিশন চাইলে সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশিও করতে পারে, তবে মূল কাঠামোর ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বেতন কমিশনের অবস্থা

জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গঠন করা হয় এবং তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে চায়।

চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে এখন পর্যন্ত এক ডজনের বেশি প্রস্তাবনা কমিশনের কাছে পৌঁছেছে। সূত্র জানায়, প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা শেষে বেতন বৈষম্য কমানো ও ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা—এই দুই লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে কমিশন তার চূড়ান্ত সুপারিশ করবে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ