ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সুখবর

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১১:০৭:০৬
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে সুখবর

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বেতন-ভাতা এবং প্রশাসনিক খরচ মেটাতে বিপুল পরিমাণ তহবিল অনুমোদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। পরিচালন বাজেটের অংশ হিসেবে এই খাতে মোট ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই আর্থিক মঞ্জুরির তথ্য জানানো হয়। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত জনবলের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদক্ষেপ।

নির্দিষ্ট খাতে ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা

অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে কয়েকটি নির্দিষ্ট খাতে ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট, ফ্যাক্স এবং টেলেক্সের জন্য নির্ধারিত তহবিল ব্যবহার করে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা হারে ইন্টারনেট বিল পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ব্যয় করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ভ্রমণ বাবদ খরচ দাবি করার সুযোগ

এছাড়া, যেসব শিক্ষক মাসিক সমন্বয় সভার মতো প্রাতিষ্ঠানিক ইভেন্টে অংশ নিতে বা অন্যান্য সরকারি কাজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণে যাবেন, তাঁরা সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে ভ্রমণ বাবদ খরচ দাবি করার সুযোগ পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বরাদ্দ ও জবাবদিহিতার কাঠামো

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিচালন বাজেটের অধীনে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে সংযুক্ত বিভাজন অনুসারে মোট ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও (উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা)-এর অনুকূলে মঞ্জুরি ও বিতরণ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও-এর আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তাকে (DDO) এই অনুমোদিত অর্থ সরকারি বিধি মোতাবেক খরচের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দকৃত তহবিল অবশ্যই কঠোরভাবে সরকারি নিয়মকানুন মেনে ব্যয় করতে হবে।

যেকোনো প্রকারের অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। একই সঙ্গে, অতিরিক্ত বা অব্যয়িত তহবিল ২০২৬ সালের ৩১ মে-এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও আরোপ করা হয়েছে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ