ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বাংলাদেশিদের জন্য চরম দু:সংবাদ: বাতিল হচ্ছে ভিসা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২২:৫২:৩১
বাংলাদেশিদের জন্য চরম দু:সংবাদ: বাতিল হচ্ছে ভিসা

ভিসা আবেদনে ব্যাপক প্রতারণার দায়ে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের দিকে আঙুল তুলে একযোগে বিপুল সংখ্যক বিদেশির ভিসা প্রত্যাহার করার বিশেষ কর্তৃত্ব লাভের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কানাডীয় প্রশাসন। এই উদ্দেশ্যে পার্লামেন্টে একটি বিল পেশ করা হয়েছে, যা দ্রুত পাশ করার আশা করছে সরকার।

কার্যনির্বাহী দল গঠন

সিবিসি নিউজের হাতে আসা সরকারি নথি অনুযায়ী জানা যায়, অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং সীমান্ত পরিষেবা সংস্থা (সিবিএসএ)-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একটি যৌথ কর্মগোষ্ঠী গঠন করেছেন। তাঁদের আমেরিকান সমকক্ষদের সাথে নিয়ে গঠিত এই দলটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভ্রমণ ভিসার নকল আবেদন চিহ্নিত করে রদ করা এবং এই কাজের জন্য নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

‘বিশেষ সমস্যা সৃষ্টিকারী রাষ্ট্র’

অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিপত্রে এই বিশেষ কর্তৃত্ব বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশকে 'বিশেষ সমস্যা সৃষ্টিকারী রাষ্ট্র' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামষ্টিক ভিসা রদের ক্ষমতা প্রয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলির তালিকায় 'নির্দিষ্ট দেশের ভিসাধারীদের' বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা আছে।

তবে জনসমক্ষে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব এই ক্ষমতা চাওয়ার কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম না করে কেবল মহামারি কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতির কথাই বলেছেন।

বিল সি–১২ ঘিরে আইনি সংশয়

বিল সি–১২ নামে পরিচিত এই প্রস্তাবিত আইনটি দ্রুত পাশ করার প্রত্যাশা করছে অটোয়া। কিন্তু এই বিলটি ইতিমধ্যেই আইনি সংশয় সৃষ্টি করেছে। ৩০টিরও বেশি সুশীলসমাজের সংস্থা এর বিরুদ্ধে নিজেদের দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে। মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্কের মতো গোষ্ঠীগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে এই ক্ষমতা ফেডারেল সরকারকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিতাড়নের হাতিয়ার তৈরি করার সুযোগ দেবে। অভিবাসন সংক্রান্ত আইনজীবীরাও সন্দেহ করছেন যে আবেদন প্রক্রিয়ার স্তূপ কমানোর জন্যই সরকার এই কর্তৃত্ব চাইছে কি না।

যদিও আইআরসিসি গত মাসে সিবিসিকে জানিয়েছে যে নতুন প্রস্তাবটি 'নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা পরিস্থিতি' লক্ষ্য করে করা হয়নি।

‘কঠোর ব্যবস্থা’ গ্রহণের দাবি

অভিবাসন বিভাগ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ভুয়া পর্যটক এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করে সীমান্তে অনাবশ্যক ভিড় কমাতে তারা 'কঠোর ব্যবস্থা' গ্রহণ করেছে।

বিভাগটির দাবি, ‘যেসব দেশ থেকে অপব্যবহারের হার সর্বাধিক’ সেখানকার অস্থায়ী রেসিডেন্স ভিসার (টিআরভি) আবেদনগুলির উপর নজরদারি তীব্র করায় গত বছরের জুন মাস থেকে অবৈধভাবে মার্কিন সীমান্ত দিয়ে কানাডায় অনুপ্রবেশের হার ৯৭ শতাংশ কমে গেছে। একই সময়ের তুলনায় প্রতারণার কারণে ভিসা বাতিলের হারও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে, অভ্যন্তরীণ নথিপত্রে কেন বাংলাদেশ এবং ভারতকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হলো—সিবিসি নিউজের এমন প্রশ্নের কোনো সরাসরি উত্তর কানাডীয় কর্তৃপক্ষ দেয়নি।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ