ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পে স্কেল: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দু:সংবাদ দিল অর্থ উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৫:২৯:৩৬
পে স্কেল: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য দু:সংবাদ দিল অর্থ উপদেষ্টা

দেশের অর্থনৈতিক ও বেতন কাঠামো সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিশ্চিত করেছেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-কমিশন গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে নবগঠিত রাজনৈতিক সরকারের দ্বারা। একই বক্তৃতায়, তিনি আরও জানান যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দেশে প্রবেশ করবে না।

রবিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন।

আইএমএফ এবং অর্থনৈতিক নীতির দিকনির্দেশনা

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের সঙ্গে ঋণের কিস্তি সংক্রান্ত আলোচনা চলমান। তাদের কাছে থাকা সমস্ত তথ্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ হিসেবে পরবর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের কর্মপদ্ধতি ও স্থিতিশীলতা যাচাই করেই কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যদিও মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, তবুও বাড়িভাড়া এবং পরিবহন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি এখনও বিদ্যমান। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। সার্বিকভাবে, পণ্যের বাজার, বিশেষত চালের মূল্য, বর্তমানে সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে সরকার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সার ও অন্যান্য উপকরণ আমদানির প্রক্রিয়াও চলমান। আজকের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার এবং অতিরিক্ত ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও স্বীকার করেন যে, দেশের জনসাধারণ স্বেচ্ছায় কর প্রদানে খুব বেশি আগ্রহী নয়, যা রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

আমন সংগ্রহে নতুন লক্ষ্যমাত্রা ও বর্ধিত মূল্য

এর আগে অর্থ উপদেষ্টা খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর আমন মৌসুমের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ৭ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ও চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে, সেদ্ধ চালের পরিমাণ ৬ লক্ষ টন, আতপ চাল ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ধানের পরিমাণ সাড়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন রাখা হয়েছে।

সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলবে। এবারে আমন ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা। মনে রাখা দরকার, ধান ও চালের এই নতুন ক্রয়মূল্য গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ