ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

HSC বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ১৬ নভেম্বর: ফল পরিবর্তন না হলে করণীয়?

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১৫:১০:৫৬
HSC বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ১৬ নভেম্বর: ফল পরিবর্তন না হলে করণীয়?

আসসালামু আলাইকুম। এইচএসসি ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জের ফলাফল প্রকাশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর প্রকাশিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই ফলাফল। রেজাল্ট ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করছে—যদি বোর্ড চ্যালেঞ্জেও তাদের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?

সকল আবেদনকারীকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে এবং ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য বিস্তারিত গাইডলাইন নিচে তুলে ধরা হলো।

ফলাফল প্রকাশের তারিখ ও দেখার পদ্ধতি

এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ নভেম্বর। ফলাফল প্রকাশের পর আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে রেজাল্ট পরিবর্তনের তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও, শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ফলাফল যাচাই করা যাবে।

কতজনের রেজাল্ট পরিবর্তন হতে পারে?

মনে রাখা ভালো, বোর্ড চ্যালেঞ্জে আবেদনকারীর সবার ফল পরিবর্তন হয় না। ভিডিওতে বক্তা উল্লেখ করেছেন, প্রায় দুই লাখ আবেদনকারীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর রেজাল্ট পরিবর্তিত হতে পারে। মূলত, উত্তরপত্র মূল্যায়নে বা নম্বর যোগ করার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো হয়েছে, শুধু সেগুলোই সংশোধিত হয়ে আসে। তাই, যদি আপনার খাতায় সত্যিই কোনো ভুল থাকে, তবেই আপনার ফল পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকবে।

রেজাল্ট পরিবর্তন না হলে ফেল করা শিক্ষার্থীর করণীয়

যারা এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করার কারণে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং ১৬ নভেম্বরের ফলাফলেও তাদের রেজাল্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি, তাদের হতাশ না হয়ে দ্রুত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি: আপনার সামনে এইচএসসি ২০২৬ ব্যাচের সঙ্গে আবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। এই সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব পড়াশোনা শুরু করে দিন।

প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা: পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে এবং অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। অতীতের ভুলগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো যেন আর না হয়, সেদিকে মনোযোগ দিন।

রেজাল্ট পরিবর্তন না হলে পাস করা শিক্ষার্থীর করণীয় (কম জিপিএ)

যারা এইচএসসিতে পাস করেছে, কিন্তু জিপিএ বাড়ানোর জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছিল এবং ফল অপরিবর্তিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে জিপিএর ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি পথ খোলা আছে:

১. ভালো জিপিএ থাকলে (অনার্সে ভর্তির যোগ্যতা):

যদি আপনার বর্তমান জিপিএ দেশের পাবলিক বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করে, তাহলে সময় নষ্ট না করে সেই ভর্তি পরীক্ষার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন।

২. কম জিপিএ থাকলে (অনার্সে ভর্তির যোগ্যতা না থাকলে):

যদি আপনার জিপিএ খুব কম থাকে এবং অনার্স কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতাও পূরণ না হয়, তবে আপনি নিম্নোক্ত বিকল্পগুলো বিবেচনা করতে পারেন:

ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি: আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।

ফল উন্নয়ন (Improvement): আপনি চাইলে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষা দিয়ে আপনার রেজাল্ট উন্নয়নের জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি পরের বছর আপনার ফল বাড়ে, তবে সেটি গৃহীত হবে। আর যদি ফল না বাড়ে, তাহলে এই বছরের ফলটিই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে।

পরবর্তী গাইডলাইনের জন্য পাশে আছি

বোর্ড চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে আমাদের চ্যানেল সর্বদা সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন দিয়ে যাবে। রেজাল্ট যাই হোক না কেন, মন খারাপ না করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হোন। আপনার মেধা ও পরিশ্রম থাকলে সাফল্য অবশ্যই ধরা দেবে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড তাদের আর্থিক বছরে শক্তিশালী শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী... বিস্তারিত