ঢাকা, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

earthquake today: ২৪ ঘণ্টায় ১,৩৯৪ ভূমিকম্প! বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১০:৩৪:২১
earthquake today: ২৪ ঘণ্টায় ১,৩৯৪ ভূমিকম্প! বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

আন্তর্জাতিক স্তরে গত চব্বিশ প্রহরে ১,৩৯৪টি ভূকম্পন নথিবদ্ধ হয়েছে। আগ্নেয়গিরি এবং ভূ-আলোড়নের মতো প্রাকৃতিক দুর্যেোগসমূহ পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞ ওয়েবসাইট ‘ভলকানোডিসকভারিডটকম’ (VolcanoDiscovery.com) রবিবার বিকালে তাদের হালনাগাদ তথ্যে এই পরিসংখ্যানটি প্রকাশ করেছে।

ভলকানোডিসকভারিডটকমের তথ্য অনুযায়ী, তারা প্রতি মিনিটে বিশ্বজুড়ে হওয়া কম্পনের বিবরণ সংগ্রহ করে। সেই পরিমাপের ভিত্তিতেই জানা যাচ্ছে যে, রবিবার বিকাল পর্যন্ত শেষ হওয়া একদিনে সারা বিশ্বে ছোট-বড় মিলিয়ে ১,৩৯৪টি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এই কম্পনগুলোর মধ্যে রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ পরিমাপ ছিল ৫ দশমিক ৬। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাভুক্ত তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ৫ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ৫টি কম্পন, ৪ থেকে ৫ মাত্রার ৫১টি কম্পন, ১ থেকে ৪ মাত্রার ১০১টি কম্পন এবং ২ থেকে ৩ মাত্রার ২৩৯টি কম্পন ধরা পড়েছে। তবে, রিখটার স্কেলে ২ এর নিচে থাকা কম্পনের সংখ্যা ছিল ৯৯৮টি, যা সাধারণভাবে মানুষের পক্ষে টের পাওয়া সম্ভব নয়।

শতবর্ষের বিশ্লেষণ: বছরে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার কম্পনের গড়

গত ২৫ বছরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এবং ১৯০০ সাল থেকে শুরু হওয়া ভূকম্পনের ঐতিহাসিক বিবরণ বিশ্লেষণ করে ভলকানোডিসকভারিডটকম কিছু দীর্ঘমেয়াদি তথ্য সরবরাহ করেছে। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর গড়ে ৪ লক্ষ ৭০ হাজারটি ভূকম্পন ঘটে থাকে। জানানো হয়েছে যে, রিখটার স্কেলে ৮ বা এর বেশি মাত্রার কম্পন পাঁচ বছরে একবার, ৭ মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার কম্পন বছরে ৬টির বেশি, ৬ মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার কম্পন বছরে ১৪১টি, ৫ মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার কম্পন বছরে ১৯০০টি এবং ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার কম্পন বছরে ২১ হাজারটি পর্যন্ত হতে পারে।

বাংলাদেশে পরপর ঝাঁকুনি ও সাম্প্রতিক ৫.৭ মাত্রার দুর্যোগ

এদিকে, বাংলাদেশেও সম্প্রতি কম্পনের পৌনঃপুনিক ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। গত শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে প্রথম ভূকম্পনটি পরিলক্ষিত হয়। রিখটার স্কেলে এর পরিমাপ ছিল ৩.৩, যার উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নরসিংদীর পলাশ অঞ্চল। একই দিনে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে ৩.৭ মাত্রার এবং এর মাত্র এক সেকেন্ড পরই ৪.৩ মাত্রার আরও দুটি কম্পন অনুভূত হয়। এর আগে, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার একটি অপেক্ষাকৃত তীব্র ভূকম্পনে সারা দেশ কেঁপে ওঠে, যার ফলে একজন শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ঝুঁকি অঞ্চল বিভাজন এবং সজাগ থাকার উপদেশ

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানচিত্রে ভূকম্পনের ঝুঁকি বিবেচনায় সমগ্র বাংলাদেশকে মোট তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলকে জোন-১, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে জোন-২ এবং সর্বনিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাকে জোন-৩ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ মহল মত প্রকাশ করেছেন যে, ভূকম্পনের এই ক্রমাগত ঘটনা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূকম্পনের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই তারা জনসাধারণকে সবসময় সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ