ঢাকা, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

সেনাপ্রধানের নতুন বার্তা: বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ১২:৪৩:২৩
সেনাপ্রধানের নতুন বার্তা: বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

দেশের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী—এমন মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের একটি সামরিক স্থাপনায় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সদ্য কমিশন লাভ করা নবীন অফিসারদের প্রতি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

নবীন অফিসারদের প্রতি পবিত্র দায়িত্বের নির্দেশনা

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে সামরিক জীবনের পবিত্র দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব ন্যস্ত হলো। তিনি প্রতিটি সেনা সদস্যকে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সততা ও দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রাণিত করেন।

কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ

দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কারও বিতরণ করেন। কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যা কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য সামরিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

কমিশন লাভ করলেন ২০৪ জন কর্মকর্তা

অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে দীর্ঘ সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন শেষে সর্বমোট ২০৪ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এর মধ্যে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের ১৮৪ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে পুরুষ ও মহিলা সেনা কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ সেনা কর্মকর্তা এবং ২১ জন মহিলা সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা এখন থেকে দেশের সেবায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রথম সারির নেতৃত্ব দেবেন। নতুন অফিসারদের এই সংযোজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতাকে আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ