MD Zamirul Islam
Senior Reporter
মাত্র দুই সপ্তাহে সাত ভূমিকম্প, উচ্চ ঝুঁকিতে দেশের ১৫ এলাকা, তালিকা প্রকাশ
সাম্প্রতিককালে পরপর ভূকম্পনের ধাক্কায় ঢাকা এবং এর আশপাশের জেলাগুলোতে জনমনে উদ্বেগ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরের কম্পন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার পর ভূ-তত্ত্ববিদরা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাচ্ছেন—রাজধানীর সন্নিকটে একটি নতুন ভূ-কম্পনের কেন্দ্র সচল হচ্ছে, যার প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের এই ভাবনার মূল কারণ হলো, গত পনেরো দিনের মধ্যে রাজধানীতে অন্তত সাতবার মাটি কেঁপেছে, যার মধ্যে ছয়টির উৎসস্থলই ছিল নরসিংদী।
নরসিংদীর মাধবদীর ৫.৭ মাত্রার জোরালো ঝাঁকুনি
প্রথম জোরালো ঝাঁকুনি অনুভূত হয় ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে। রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার সেই শক্তিশালী কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী, যা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ২৫–৪০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। ফলস্বরূপ, মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঢাকা ও সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, একই স্থান থেকে একাধিকবার কাঁপা স্বাভাবিক, যাকে পরাঘাত (Aftershock) বলা হয়। তবে এই ঘটনা ভবিষ্যতে বৃহত্তর ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে সক্ষম নয়। ২২ নভেম্বর সকালে নরসিংদীর পলাশ থেকে ৩.৩ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় ৪.৩ ও ৩.৭ মাত্রার দু’টি কম্পন এবং ২৭ নভেম্বর ঘোড়াশালে ৩.৬ মাত্রার কম্পন রেকর্ড করা হয়। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর শিবপুর থেকে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প আবারও ঢাকাবাসীকে নাড়িয়ে দেয়।
ছোট কম্পন বড় বিপদের আগাম সতর্কবার্তা
ভূ-তত্ত্ববিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ছোট ও মাঝারি মাত্রার এই কম্পনগুলি আসলে বড় ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ পৃথিবীর সক্রিয় প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশের সম্ভাব্য দুটি প্রধান ভূমিকম্প উৎস রয়েছে:
১. ডাওকি ফল্ট: এটি শিলং মালভূমি থেকে শুরু করে সিলেট, জামালগঞ্জ ও ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত।
২. আরাকান ফল্ট: যা সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা পর্যন্ত প্রসারিত। বিশেষজ্ঞরা আরাকান ফল্টকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন।
ঢাকার ১৫টি এলাকা বিশেষভাবে নাজুক
গবেষণায় ঢাকার মোট ১৫টি এলাকাকে বিশেষভাবে নাজুক/বিপজ্জনক বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলো হলো—সবুজবাগ, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, গাবতলী, উত্তরা, সুত্রাপুর, শ্যামপুর, মানিকদি, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, খিলগাঁও এবং পাড্ডা।
৩২টি এলাকার ভৌত কাঠামোর মূল্যায়নে দেখা যায় যে, পুরাতন ঢাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে উত্তরাংশের কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, মানিকদি ও গাবতলীও সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের জরুরি পরামর্শ
ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে তাৎক্ষণিকভাবে ভবনগুলির সমীক্ষা চালানো, কম্পন-সহনশীল মানদণ্ডে ভবন নির্মাণ আবশ্যক করা এবং নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত মহড়া আয়োজন করা জরুরি। সময়োপযোগী প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন বড় ক্ষতির মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ওয়ানডে: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- ভূমিকম্প রেড জোন: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে দেশের যে ৯ জেলা, দেখুন তালিকা
- ঢাকার ভূমিকম্পে টিকবে কোন এলাকা? প্রকাশ হলো নিরাপদ এলাকার তালিকা
- ব্রাজিল বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ কবে, জানুন সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জানুন ফলাফল
- earthquake today: আবারো ৪.২ তীব্রতার ভূমিকম্প
- আর্জেন্টিনা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ কবে, জানুন সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড ৩য় টি-২০: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- কঠোর শাস্তির মুখে শিক্ষকরা: পরীক্ষা বন্ধের জেরে কঠোর অবস্থানে সরকার
- ল্যাটিন-বাংলা সুপার কাপের সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশ-ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ কবে
- আজ বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান ম্যাচ: সরাসরি Live দেখার উপায়
- বিশ্ববাজারে কমলো স্বর্ণ-রুপার দাম, বাংলাদেশে স্বর্ণের ভরি কত
- আজ বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান ম্যাচ: সরাসরি দেখার উপায় ও সময়সূচি
- earthquake today: আবারও ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- বাংলাদেশ বনাম আজারবাইজান: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন ফলাফল