ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলকে দু:সংবাদ দিল ফিফা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৭:১০:৩১
বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলকে দু:সংবাদ দিল ফিফা

আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে বাংলাদেশের নারী দলের জন্য হতাশার খবর। গত তিন মাস আগে র‍্যাংকিংয়ে রেকর্ড গড়া উন্নতির পর আজ প্রকাশিত ফিফার নারী র‍্যাংকিংয়ে ঘটেছে বড় ধরনের অবনতি। টানা চার আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যর্থতার জেরে বাঘিনীরা আট ধাপ পিছলে গেছে।

মাত্র তিন মাস আগে বাংলাদেশ ১২৮তম স্থান থেকে ১০৪তম স্থানে উঠে এসে এক লাফে সর্বোচ্চ ২৪ ধাপের উল্লম্ফন ঘটিয়েছিল। সেই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই আজকের র‍্যাংকিংয়ে এই পতনের ফলস্বরূপ দলটিকে গুনতে হলো আট ধাপের ক্ষতি।

টানা চার পরাজয়ে র‍্যাংকিংয়ে প্রভাব

গত তিন মাসের উইন্ডোতে বাংলাদেশ মোট চারটি খেলায় অংশ নিয়েছে এবং প্রতিটিতেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে।

অক্টোবরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দুটি প্রীতি ম্যাচে দলটি প্রথমে ৩-০ এবং পরে ৫-১ গোলে পরাজিত হয়। দুটি ম্যাচ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে মোট ৮ গোল হজম করে ডিফেন্স।

এরপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে তারা মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ ব্যবধানে এবং শক্ত প্রতিপক্ষ আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়। এই চার ম্যাচের হতাশার পারফরম্যান্সই র‍্যাংকিংয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

বিতর্কের কেন্দ্রে কোচ পিটার বাটলারের কৌশল

এই র‍্যাংকিং পতনের প্রধান কারণ হিসেবে সমালোচিত হচ্ছে জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের কৌশল। কোচ তাঁর দল দিয়ে আক্রমণাত্মক ‘হাই লাইন ডিফেন্স’ কৌশল প্রয়োগ করেন। থাইল্যান্ডের মাটিতে যেখানে এই কৌশলের কারণে দল ৮ গোল হজম করে, সেখানে দেশের ফুটবল মহলে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু কোচ বাটলার তাঁর সিদ্ধান্তে ছিলেন অবিচল।

ঢাকার মাটিতে আজারবাইজান ও মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলা দুটি ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের জন্য ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ‘শতকের কোঠা’ অর্থাৎ ১০০-এর নিচে আসার এক সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু ঘরের মাঠেও সেই একই বিতর্কিত হাই লাইন ডিফেন্সের ভুল প্রয়োগের ফলস্বরূপ দুই ম্যাচে হেরে এই ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া হলো, যার চূড়ান্ত পরিণতি র‍্যাংকিংয়ে আট ধাপের অবনতি।

পুরনো সাফল্যে ছিল র‍্যাংকিংয়ের ভিত

স্মরণ করা যেতে পারে, এই বড় উন্নতির ভিত তৈরি হয়েছিল গত জুনে। সে সময় ঋতুপর্ণারা শক্তিশালী মিয়ানমারকে তাদের মাটিতে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এই ঐতিহাসিক জয়ের আগে দল জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে টানা দুটি ড্রয়ের ফল নিজেদের ঝুলিতে পুরেছিল। এই ইতিবাচক পারফরম্যান্সই সেই সময় ফিফার র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ উচ্চতা স্পর্শ করতে সাহায্য করেছিল।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ