Alamin Islam
Senior Reporter
জমি জবরদখল হলে কী করবেন? উদ্ধারের আইনি পথ ও সঠিক নিয়ম জানুন
মালিকের অনুমতি ব্যতিরেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা গায়ের জোরে অন্যের সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ করে তা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখাকেই ভূমি জবরদখল বলা হয়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য। সময়মতো প্রতিবাদ বা অভিযোগ না করলে আইনি জটিলতা যেমন বাড়ে, তেমনি দখলদার ব্যক্তি অপরাধ থেকে পার পাওয়ার সুযোগ পায় এবং দীর্ঘস্থায়ী দখলের ভিত্তিতে মালিকানা দাবি করার পথ খুঁজে নেয়।
জবরদখলের শিকার হলে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিকার পেতে আপনি যেসব সংস্থার দ্বারস্থ হতে পারেন:
সহায়তা পাওয়ার নির্ভরযোগ্য স্থানসমূহ:
পুলিশ বিভাগ: সংশ্লিষ্ট থানা কিংবা জেলা পুলিশের মাধ্যমে প্রাথমিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
প্রশাসনিক কার্যালয়: জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় এবং উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
লিগ্যাল এইড: যারা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, তারা জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি আইনি সহায়তা পেতে পারেন।
প্রচলিত আইনের রক্ষাকবচ:
ভূমি জবরদখল বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ফৌজদারি ও দেওয়ানি—উভয় দিক থেকেই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। দণ্ডবিধিতে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ধারা রয়েছে:
১. ৪৪১ ধারা (অবৈধ অনুপ্রবেশ): অনুমতি ছাড়া অন্য কারো জমিতে প্রবেশ করাকে ‘ক্রিমিনাল ট্রেসপাস’ বা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
২. ৫০৬ ধারা (ভয়ভীতি প্রদর্শন): যদি হুমকি বা ত্রাস সৃষ্টি করে জমি দখলে রাখা হয়, তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই ধারায় ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
জমি পুনরুদ্ধারে অনুসরণযোগ্য ধাপসমূহ:
প্রাথমিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অথবা এজাহার (FIR) দায়ের করুন। অভিযোগপত্রে জমির বিস্তারিত তথ্য, জবরদখলের সময়কাল এবং অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার কিংবা কাউন্সিলরের মাধ্যমে সালিশি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
প্রশাসনিক অভিযোগ দায়ের:
স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান না হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অথবা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নিকট লিখিত আবেদন করুন। আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা ভূমি অফিসকে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
আদালতে আইনি লড়াই (দেওয়ানি প্রতিকার):
যদি প্রশাসনিকভাবে ভূমি উদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তবে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো:
জমির মালিকানা স্বত্ব সাব্যস্ত করার জন্য মামলা পরিচালনা করা।
জমিতে কোনো পরিবর্তন বা স্থাপনা নির্মাণ ঠেকাতে আদালতের কাছে ‘অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা’ প্রার্থনা করা।
মামলার স্বপক্ষে জমির মূল দলিলপত্র, নামজারি, হালনাগাদ খাজনা রশিদ এবং দখল প্রমাণের প্রয়োজনীয় নথি আদালতের কাছে উপস্থাপন করা।
মনে রাখবেন, আইন সর্বদা সঠিক মালিকের পক্ষে থাকে। জমি জবরদখল হওয়ার সাথে সাথে নির্লিপ্ত না থেকে যথাযথ আইনি ধাপগুলো অনুসরণ করাই হলো বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
সব ধরনের আইনি আপডেট এবং খবরাখবর সবার আগে পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। নিয়মিত তথ্য পেতে গুগলে ‘24updatenews’ লিখে সার্চ করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের ‘জাতীয়’ ক্যাটাগরিতে চোখ রাখুন।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- তারেক রহমানের নির্দেশ বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল: বাদ পড়লেন যারা
- তারেক রহমানের নির্দেশ, বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল,বাদ পড়লেন যারা, তালিকা প্রকাশ
- হাদিকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল ফয়সাল, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হারানো যৌবন ফিরে পাওয়ার ৩টি প্রাকৃতিক উপায়
- যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
- তারেক রহমানের নির্দেশ, বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বড় পরিবর্তন : বাদ একাধিক হেভিওয়েট
- অবিশ্বাস্য বিশ্ব রেকর্ড:১ ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে গড়লো নতুন ইতিহাস
- ৩টি পাপ করলে মানুষ দ্রুত মারা যায়
- চলছে রংপুর রাইডার্স বনাম রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- রুমিন ফারহানাকে বড় দু:সংবাদ দিল বিএনপি
- রংপুর রাইডার্স বনাম রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ফলাফল দেখুন এখানে
- লিভারের ক্ষতি ঠেকাতে ত্বকের এই ৪ পরিবর্তন এখনই গুরুত্ব দিন
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়লে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি, রুমিন ফারহানার কী হবে
- বিক্রেতা সংকটে হল্টেড ৯ কোম্পানির শেয়ার