ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

ম্যাচসেরা সেরা হওয়ার পর নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন সাকিব

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ অক্টোবর ২১ ২০:৫৮:৪০
ম্যাচসেরা সেরা হওয়ার পর নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন সাকিব

প্রথমে ব্যাট হাতে ৪৬ রান ও পরে বোলিংয়ে ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আবারও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার জিতেছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার অষ্টম ম্যাচসেরা পুরষ্কার। আর তিন ফরম্যাট মিলে এ নিয়ে ৩৮তমবারের মতো ম্যাচসেরা নির্বাচিত হলেন সাকিব।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আইসিসি ইভেন্টে এ নিয়ে বাংলাদেশের সবশেষ ছয়টি জয়েই ম্যাচসেরা হলেন সাকিব। যার প্রথমটি ছিলো ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। পরে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনটি ও এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচসেরা হলেন দুই ম্যাচে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সাকিবকে ইনিংসের তৃতীয় বল থেকেই ব্যাটিংয়ের হাল ধরতে হয়। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ। ফলেক কার্যত ওপেনার হিসেবেই খেলতে হয়েছে সাকিব।

যেখানে আরেক ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে সামাল দেন প্রাথমিক ধাক্কা। লং অনে চার্লস আমিনির দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। তার এই ইনিংসে কোনো চারের মার না থাকলেও, ছিলো তিনটি বিশাল ছক্কা।

আর বোলিংয়ে বিশ্বকাপে নিজের সেরা স্পেলটা যেনো জমিয়ে রেখেছিলেন আজকের জন্যই। চার ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান দিয়ে দিয়েছেন ৪ উইকেট। এর দুটি ক্যাচই নাইম ধরেছেন একই জায়গা- লং অনে দাঁড়িয়ে। সাকিবের প্রথম উইকেটের পূর্ণ কৃতিত্ব তো নাইমেরই বলা চলে।

আর এক উইকেট নিলে ফাইফার ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট; এক ঢিলে দুই পাখি মারার আফসোস হয়তো সাকিব করতেই পারেন। তাতে কী! তাকে তো প্রতি ম্যাচেই কোনো না কোনো রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকে। বলা তো যায় না, পরের ম্যাচেই হয়তো সাকিব নতুন কোনো রেকর্ড করে ফেলবেন।

ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন না বেশ কিছুদিন। তবে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে আজ, বা ওমানের বিপক্ষে তার ইনিংস জানান দিচ্ছে, ব্যাটার সাকিবও ফিরে গেছেন ছন্দে। বিষয়টা সাকিবেরও মনে হচ্ছে একই রকম ভাবে। বললেন, ‘এই ফরম্যাটটা ফর্মে ফেরার জন্য খুব একটা সহজ ফরম্যাট নয়। কিন্তু এখন সৌভাগ্যক্রমে আমি ওপরের দিকে খেলতে পারছি।’

সেই জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে শুরু। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলেই ছুটতে হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে, আইপিএল খেলতে। শেষ কয়েক মাসে যেন দম ফেলার ফুরসত ছিল না সাকিবের। তবে সেসব ক্লান্তি থাকলেও টুর্নামেন্ট সফলতায় চোখ এবার তার। বললেন, ‘একটু ক্লান্তি তো আছেই। শেষ পাঁচ ছয় মাস ধরে টানা খেলে যাচ্ছি। মৌসুমটা আমার জন্য অনেক লম্বা যাচ্ছে। তবে আমি আশা করছি এই টুর্নামেন্টেও সফল হব।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ