ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

১০০ থেকে এক ধাক্কায় ৬৩, এবাদত যে ভালো বোলার তা আজ প্রমাণ করেছে : লিটন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ জানুয়ারি ০৪ ১৪:১৩:৪২
১০০ থেকে এক ধাক্কায় ৬৩, এবাদত যে ভালো বোলার তা আজ প্রমাণ করেছে : লিটন

প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড মাত্র ১৭ রানের লিড নিতেই হারিয়ে ফেলেছে পাঁচটি উইকেট। বোলাররা দলের পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারার কারণেই এই সাফল্য এসেছে। তবে এখনই অতিরিক্ত উত্তেজিত হচ্ছে না বাংলাদেশ।

লিটন বলেন, “আমাদের বোলাররা সবাই পরিকল্পনা অনুযায়ী একই লেন্থে বল করেছে। এবাদত আজকে দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। সে একই জায়গায় বল করার কারনে অনেক সহায়তা পেয়েছে। তার ব্রেক থ্রু আমাদের দলকে অনেক প্রেরণা যুগিয়েছে। আমরা এখন যে অবস্থায় আছি আমরা অতিরিক্ত উত্তেজিত না। আমাদের এখনও পাঁচ উইকেট নিতে হবে, যত কম রান দেয়া যায়, এই রানটা আমাদের তাড়া করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের উইকেটে বলটা কিছুটা নিচে এবং কিছু বল পিছলে যাচ্ছিল। যে জায়গাটাতে বল করলে বলের গতি ১৩৮-১৪০ এভারেজ থাকে বোলিং। এবাদতের পরিকল্পনা ছিল উইকেটে বল করা, যদি সেখান থেকে আপ এন্ড ডাউন করে তাহলে লেগ বিফোর বা বোল্ডের চান্স থাকবে। আর এই জিনিসটা আমরা তাকে বলছিলাম পেছন থেকে। যেমন শান্ত বারবার বলছিল যে জোরে জোরে; কারণ ও যত জোরে বল করছিল, উইকেট থেকে তত সহায়তা পাচ্ছিল।”

দিনের শেষ সেশনে চমক দেখিয়েছেন এবাদত। দুই ওভারের ভেতর তিনটি উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। যারমধ্যে দুইটি বোল্ড ও একটি এলবিডব্লিউ। এই সাফল্যের দিন দেখার জন্য সুযোগের দরকার ছিল বলে অভিমত দেন লিটন।

লিটন বলেন, “খেলোয়াড়দেরকে সুযোগ দিতে হবে। দেখেন, আমরা যখন টেস্ট খেলি, কতদিন পরপর খেলি। এবাদত একটা সংস্করণেই খেলে, অনেক সময় বাংলাদেশে খেলা হলে খেলে আবার খেলে না। এই জিনিসগুলা মাথায় রাখতে হবে যে একজন পেসারের জন্য সবসময় সব কিছু অনুকূলে থাকে না।”

দ্বিতীয় ইনিংসে এই চারটি উইকেট শিকারের আগে এবাদতের বোলিং গড় ছিল ১০০ এর বেশি। এখন এক ধাক্কায় সেটি নেমে এসেছে ৬৩ এ। বেশি গড় থাকলেও এবাদতের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ ছিল না দলের।

লিটনের ভাষ্যমতে, “তার বোলিং গড় একটু বেশি, ইকোনোমি একটু বেশি ছিল, কিন্তু তার যে যোগ্যতা আছে, সে যে ভাল বোলার সেটি সে আজ প্রমাণ করেছে। সামনেও সে প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আমার মনে হয় তাকে একটু সময় দেয়া উচিত। আমার মনে হয় আমি যা দেখলাম, ওর ম্যাচ ১১টা কি ১২টা। আমার মনে হয় একটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতাটা আনতে, ক্রিকেটটাকে বুঝতে। তাই আমার মনে হয় ওই সময়টা তাকে দেয়া উচিত।”

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ