লজ্জার ইতিহাস গড়লো মুস্তাফিজ

আইপিএলে ভুলে যাওয়ার মতো এক রাত কেটেছে বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। তার ‘বাজে’ বোলিংয়ের ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার ছয় থেকে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। মোস্তাফিজদের অবস্থান আটে।
দিল্লির সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৯০ রানের। ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ইনিংসের অর্ধেকটা পর্যন্ত ভালোভাবেই লড়াইয়ে ছিল তারা। ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরছেন, ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ৯৪ রান দিল্লির।
কিন্তু পরের ব্যাটাররা আর সেভাবে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। শেষ ৪ ওভারে দরকার পড়ে ৫৬ রান। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত মারকুটে ব্যাটিংয়ে আশা জাগালেও শেষ রক্ষা হয়নি দিল্লির।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সিরাজকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলেও বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন পান্ত। কিন্তু এবার কভারে কোহলির দারুণ এক ক্যাচ হন তিনি। ১৭ বলে ৩৪ করে পান্ত ফেরার পরই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দিল্লি। শেষ পর্যন্ত থামে ৭ উইকেটে ১৭৩ রানে।
এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর দিনেশ কার্তিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম তিন ওভারে বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ব্যাটাররা তার ওই তিন ওভারে নিতে পারেন মোটে ২০ রান।
কিন্তু এই মোস্তাফিজই নিজের শেষ ওভার করতে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন। এক ওভারেই দেন ২৮ রান। কাটার মাস্টারকে লজ্জার এক ওভার উপহার দিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর উইকেটরক্ষক ব্যাটার দিনেশ কার্তিক।
১৮তম ওভারে তার কোনো বলই সীমানাছাড়া করতে ছাড়েননি দিনেশ কার্তিক। প্রথম তিন বলে বাউন্ডারির পর চতুর্থ আর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান কার্তিক। শেষ বলটিতে মারেন আরেকটি চার। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মোস্তাফিজ।
অথচ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো ছিল না ব্যাঙ্গালুরুর। ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অনুজ রাওয়াত (০) আর ফ্যাফ ডু প্লেসিকে (৮) হারিয়ে বসে তারা।
এরপর ব্যর্থতার পরিচয় দেন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও (১৪ বলে ১২)। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুলেছিলেন। ৩৪ বলে ৫৫ রান করা এই ব্যাটার ইনিংসের ১২তম ওভারে সাজঘরে ফিরলে ৯২ রানে ৫ উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিনেশ কার্তিকের তাণ্ডব। শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে ৫২ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৪ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ২১ বলে হার না মানা ৩২ করেন শাহবাজ।
দিল্লি বোলারদের মধ্যে শুধু মোস্তাফিজ নন, মার খেয়েছেন কুলদ্বীপ-খলিলও। কুলদ্বীপ ৪ ওভারে দেন ৪৬ রান, খলিলের খরচ ৩৬। দুজনই অবশ্য একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি