ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

যেভাবে হবে ২০২৪ টি-২০ প্রকাশ করলো আইসিসি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ নভেম্বর ২২ ০৯:৫৫:২৯
যেভাবে হবে ২০২৪ টি-২০ প্রকাশ করলো আইসিসি

আবারও টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে ঠিক দুই বছর পর, ২০২৪ সালে। নতুন আঙ্গিকে, নতুন ফরম্যাটে আয়োজিত হবে সেই বিশ্বকাপ। যৌথ আয়োজক দুই দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবারের মত কোনো বৈশ্বিক আসরের আয়োজক হিসেবে দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আয়োজক দুই দেশ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য।

সর্বমোট ২০টি দল নিয়ে আয়োজিত হবে ’২৪ সালের বিশ্বকাপ। ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল জায়গা করে নেবে সুপার এইটে। সুপার এইটে আবারও দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যাবে দলগুলো। ৪টি করে দল নিয়ে গঠিত হবে ২টি গ্রুপ। সেই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উঠে যাবে সেমিফাইনালে। দুই সেমিফাইনালে জয়ী দুই দলকে নিয়েই হবে ফাইনাল।

তবে সবকিছুর আগে সেই ২০টি দল আগে নির্ধারণ করতে হবে। আয়োজক দেশ হিসেবে সরাসরি সুযোগ পেয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ আসরের সেরা ৮ দল হিসেবে সুযোগ পেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী দলগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে সরাসরি জায়গা পাওয়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশও।

বাকি থাকলো আর ৮ দল। সেই ৮ দল বাছাই হবে মহাদেশের শীর্ষ দলগুলোকে থেকে। আফ্রিকা থেকে ২টি, এশিয়া থেকে ২টি, পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ১টি, আমেরিকা অঞ্চল থেকে ১টি এবং ইউরোপ মহাদেশ থেকে জায়গা পাবে ২টি দল।

মহাদেশ ভিত্তিক বাছাইপর্ব খেলে আসবে বাকি ৮টি দল। টুর্নামেন্ট শুরুর সকল মহাদেশেই চলবে বাছাইপর্ব।

আফ্রিকা:

আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে নামিবিয়া এবং জিম্বাবুয়ে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত খেলেছে জিম্বাবুয়ে, আসরের ফাইনালিস্ট পাকিস্তানকে হারিয়েছে ১ রানে। এছাড়া নামিবিয়া প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও হারিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে। এছাড়া এই অঞ্চলের নাইজেরিয়া, উগান্ডা, তানিজিয়া এবং কেনিয়ার মত দলগুলোও ভালোভাবেই লড়াই করবে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য।

আমেরিকা:

এই অঞ্চল থেকে হট ফেভারিট কানাডা। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার কারণে কানাডার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ বেড়ে গেল। এছাড়া তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাবে বারমুডা।

এশিয়া:

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হবে এশিয়া অঞ্চলেই। কোন দুই দল যাবে বিশ্বকাপে তা বলা বেশ মুশকিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, ওমান, সিঙ্গাপুর, হংকং, বাহরাইন, কাতার এবং মালয়েশিয়াসহ প্রায় সব দলই বেশ ভালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য। আমিরাত, নেপাল এবং ওমান কিছুটা বেশি অভিজ্ঞ হলেও বাকিরাও ছেড়ে কথা বলবে না নিঃসন্দেহে।

পূর্ব এশিয়া-প্যাসিফিক:

এই অঞ্চলের পরিষ্কার ফেভারিট দল পাপুয়া নিউগিনি। ভানুয়াতু, বারামুন্দিসের সাথে এই অঞ্চল থেকে লড়াইয়ে থাকবে ফিলিপাইনস। এছাড়া ২০২০ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করা জাপানও থাকবে বিশ্বকাপে খেলার দৌড়ে।

ইউরোপ:

নেদারল্যান্ডসের সরাসরি জায়গা পাওয়ার ফলে এই অঞ্চলের দলগুলোর জন্য কিছুটা সুবিধাই হয়েছে। অন্যদের চাইতে কিছুটা এগিয়ে থাকবে স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড। এছাড়া জার্সি এবং উদীয়মান জার্মানিও নিশ্চিতভাবে ছেড়ে কথা বলবে না। এরা বাদেও বিশ্বকাপে খেলার জন্য লড়বে ইতালি, ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়া।

বিশ্বব্যাপী দিনদিন বেড়েই চলেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা। অর্থের ঝনঝনানি, মারমার কাটকাট ব্যাটিং সহ আরও নানা কারণে প্রচার প্রসার বাড়ছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের। সামনের দিনগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। দিনক্ষণ একদম চূড়ান্ত না হলেও জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ের দিকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। সর্বশেষ আসরের মত উত্তেজনা আর বারুদে ঠাসা জমজমাট এক টুর্নামেন্টের অপেক্ষাতেই হয়ত থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ