ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশ ব্যাটারদের ধসিয়ে বিপর্যয়ে ফেলেও নার্ভাস ছিলেন ভারতীয় স্পিনার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ডিসেম্বর ১৫ ১৯:৩৪:২৫
বাংলাদেশ ব্যাটারদের ধসিয়ে বিপর্যয়ে ফেলেও নার্ভাস ছিলেন ভারতীয় স্পিনার

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের ৩ ও চায়নাম্যান স্পিনার কুলদ্বীপ যাদবের ৪ উইকেটের ফলে ফলো অনের চোখরাঙানি দিচ্ছে সাকিবের দলের সামনে। কারণ ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা এড়াতে হলে বাংলাদেশকে এখনও করতে হবে ৭১ রান, তবে হাতে মাত্র দুই উইকেট।

এদিন স্পিনার কুলদ্বীপ তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহান ও তাইজুল ইসলামের উইকেট। মাঠে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ধসিয়ে বিপর্যয়ে ফেলার দিনেও অবশ্য নার্ভাস ছিলেন ভারতের তারকা এই স্পিনার।

তাই তো দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ২৮ বছর বয়সী কুলদ্বীপ তার নার্ভাস হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন। তবে শুরুর দিকের সেই জটিলতা কাটিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি এই বাঁহাতির।

কুলদ্বীপ বলেছেন, ‘আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, প্রথম ওভারে প্রথম উইকেট পেয়ে গেছি... নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তখনই গতি ফিরে পেয়েছি। এরপর অবশ্য কয়েক ওভারের পর নার্ভাসনেস কাটতে শুরু করেছে আমার। গতির হেরফের মেশাতে শুরু করেছি। ওভার দ্য উইকেট এবং রাউন্ড দ্য উইকেট দুই অ্যাঙ্গেল থেকে চেষ্টা করেছি বল করতে।’

ইনজুরিতে পড়ে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিল কুলদ্বীপ। কিন্তু সেই সময়টা শুধু ঘরে বসে অবসরে না কাটিয়ে নিজের বোলিং নিয়েও করেছেন। যার প্রমাণ এখন মাঠে দিতে পারছেন এই তারকা।

এই প্রসঙ্গে কুলদ্বীপ জানান, ‘এর আগে আমি যখন ইনজুরিতে ছিলাম তখন আমি আমার ছন্দে ফিরতে কাজ করেছি। দ্রুত বল করার চেষ্টা করছি যা এখন আমাকে অনেক সাহায্য করছে। আমি স্পিন নিয়ে আপোশ করি না।’

কুলদীপ যোগ করেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করলাম তখন ভেবেছিলাম স্পিনারদের জন্য এখানে খুব বেশি কিছু নেই। কেননা ব্যাটিং করার সময় আমি কোনো অস্বস্তির সম্মুখীন হইনি। আমি ভেবেছিলাম এটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। আপনি যখন একজন রিস্ট-স্পিনার হন কুকাবুরা বলে বোলিং করেন, আপনি অবশ্যই এই জাতীয় উইকেটে টার্ন এবং বাউন্স পাবেন।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ