ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেয়ার পেছনে রোনালদোর মূল কারণ যেটি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৩ জানুয়ারি ০২ ১৪:৫৫:৪৩
সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেয়ার পেছনে রোনালদোর মূল কারণ যেটি

ব্যাপারটি কিছুটা চমকপ্রদই বটে, বিগত আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ফর্মে ফেরার সুযোগই দেয়নি ম্যানচেস্টার। পরবর্তীতে বিশ্বকাপেও পর্তুগালের হয়ে অবহেলিত ছিলেন রোনালদো। বিশ্বসেরা ফুটবলারকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখার ফলাফল হাতে নাতেই পেয়েছে পর্তুগিজরা। কোয়ার্টার ফাইনালেই মরক্কোর বিপক্ষে হেরে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করতে হয় পর্তুগালের।

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজমেন্টের বিপক্ষে ইন্টারভিউতে নানা সমালোচনা করে রোনালদো। পরে দুই পক্ষের সন্তুষ্টিতেই ইতি টানা হয় ম্যানচেস্টার-রোনালদোর সম্পর্ককে। বিশ্বকাপ চলাকালীনই গুঞ্জন উঠছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিতে পারেন ক্রিশ্চিয়ানো। তবে রোনালদোর ভক্তরা বরাবরই এসব গুঞ্জনকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে।

তবে সময়ের পালা বদলে গুঞ্জনটিই এবার সত্য প্রমাণিত হলো, ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটিয়ে দিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মেসি-রোনালদো ১৬ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতারও সমাপ্ত ঘটলো এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। প্রশ্ন জাগতেই পারে ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় ইউরোপিয়ান ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন রোনালদো। চেষ্টা করলে হয়তো অনায়াসেই ইউরোপের নামি কোনো ক্লাবের সাথে যুক্ত হতে পারতেন। তাহলে এশিয়ান ফুটবলে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? এশিয়ায় ফুটবল খেলা রোনাল্ডোর ক্যারিয়ারের জন্য কতটা ফলপ্রসূ হবে এ পক্ষে যুক্তি দাড় করানোটা বেশ কঠিন।

তবে এতোটুকু নিশ্চিত ছিল ইউরোপিয়ান যে কোনো ক্লাবেই পুরো ম্যাচ জুড়ে খেলার সুযোগ পেতেন না ক্রিশ্চিয়ানো। রোনালদোকে শেষ ১৫-২০ মিনিটের সময়ের মধ্যেই ম্যাচে নিজের যথাসম্ভব ইনপুট দিতে হতো। অর্থাৎ কোনোভাবেই পার্শ্ব নায়কের এই ভূমিকা গ্রহণ করতে পারছিলেন না রোনালদো। ক্যারিয়ারের পুরো সময়টা জুড়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ফুটবলার। ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় এসে এই অপমান সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি।

এছাড়াও এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন সম্মানের সাথে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তিনি। এছাড়াও আল নাসেরের বিপক্ষে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন রোনালদো। যা এমবাপ্পে,নেইমার এবং মেসির সম্মিলিত চুক্তির পরিমাণের চেয়েও বেশি। এই চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হলেন ক্রিশ্চিয়ানো। সবমিলিয়ে আর্থিক সম্মান এবং নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ যে জায়গায় পেয়েছেন সেখানেই গিয়েছেন রোনালদো। যে কোনো স্বাধীনচেতা মানুষ হয়তো এ কাজটিই করতেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ