তুঙ্গে থাকা আফ্রিকাকে বিড়াল বানিয়ে ছাড়ল আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংস শেষ হওয়ার পর নিশ্চিত হয়ে গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ নেই তাদের। তাই সেদিকে না তাকিয়ে ব্যানার বাঁচানোর লড়াইয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের জন্য খেলেছেন নবী-রশিদরা। কিন্তু প্রোটিয়াদের ব্যাটিং সামলাতে পারেনি তারা। ১৫ বল বাকি থাকতে প্রোটিয়ারা আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে প্রবেশ করে।
২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার বাভুমা এবং ডি কক উড়ন্ত সূচনা করেন। প্রথম দশ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে প্রোটিয়ারা। নবীন-উল-হক, মুজিব, নবী, ওমরজাই দুই প্রোটিয়া ওপেনারকে সাহায্য করতে পারেননি।
তবে উদ্বোধনী জুটিকে বেশি এগোতে দেয়নি আফগানরা। ১১তম ওভারের শেষ বলে আঘাত পান মুজিব। ২৮ বলে ২৩রান করা বাভুমা এই রিস্ট স্পিনারের ফাঁদে পড়েন।
ডি ককও বাভুমার বিদায়ের পর বেশিদিন টেকেনি। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে নবীর বল ডি ককের পায়ে লেগে আম্পায়ার আউট না করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে রিভিউয়ের আগেই ডি কককে ফাঁদে ফেলে আফগানিস্তান। ৪৭ বলে ৪১ রান করে ডি ককের বিদায়ের পর বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা।
এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন ভ্যান ডার ডুসেন ও মারকরাম। এই দুই ব্যাটার ৬০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেন।
দলের রান যখন দুই উইকেটে ১১৬ তখন এই জুটি ভাঙেন রশিদ খান। ২৫ রান করা মারকরামকে বিদায় করেন এই লেগ স্পিনার। এরপর ক্লাসেন নেমেও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। তিনি মাত্র ১০ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন।
১৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। এক প্রান্ত তখনও আগলে রেখে নিজের ক্যারিয়ারের ১৪তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডুসেন। ডেভিড মিলারের সঙ্গে তার ৪৩ রানের জুটিটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী।
২৪ রান করা মিলারের বিদায়ে আবারো জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আফগানিস্তান। এরপর অলরাউন্ডার ফেলুকায়ো ও ডুসেন চেষ্টা করেন প্রোটিয়াদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে। ফেলুকায়োর ৩৭ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে শেষের দিকে আর আফগান বোলাররা পাত্তা পায়নি। ডুসেন অপরাজিত থাকেন ৭৬ রানে।
আফগানদের হয়ে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী দুটি করে উইকেট পান।
এর আগে আহমেদাবাদে ওমরজাইয়ের ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে তার দল আফগানিস্তান। শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে তুলেছে ২৪৪ রান
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরুটা ভালোই ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
দলীয় ৪১ রানের মাথায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে আফগানদের রক্ষণের দেয়াল। তিন ওভারে ৪ রান তুলতেই তিনটি উইকেট হারায় আফগানরা।
ইনিংসের নবম ওভারে কেশব মহারাজের বলে হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (২২ বলে ২৫)।
এর পরের ওভারে ৩০ বলে ১৮ করে কোয়েতজির বলে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে ধরা পড়েন জাদরান। ১১তম ওভারে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি। মহারাজের টানা দ্বিতীয় ওভারে ডি ককের ক্যাচ হন তিনি।
এরপর রহমত শাহ (৪৬ বলে ২৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ১১৬ রানে ৬টি আর ১৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। কিন্তু ওমরজাই লড়াই করে দলকে নিয়ে যান সম্মানজনক অবস্থানে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান: টস শেষ, একাদশ ৩ পরিবর্তন, লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লাইভ দেখুন এখানে
- আজ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে? জানুন সব তথ্য!
- আজ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন লাইভ
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: টস শেষ, একাদশে ৪ পরিবর্তন, লাইভ দেখুন এখানে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচ: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন লাইভ
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: ২ উইকেট হারালো পাকিস্তান, লাইভ দেখুন এখানে
- আজ বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া: এশিয়া কাপের মাঝেই কিংবদন্তির বিদায়
- এশিয়া কাপ সুপার ফোর পয়েন্ট টেবিল: এক নজরে জানুন বাংলাদেশের অবস্থান
- এক শেয়ারের ২৩,০০০% উত্থান-পতন! কারা দায়ী?