ভারত ম্যাজিক করে নয় যে বিশেষ উপায়ে একের পর এক ম্যাচ জিতে যাচ্ছে
ভারতের ক্রিকেটাররা কিভাবে এত ডেভলপ করেছে? আমরা কেন করতে পারছি না, আমাদের ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশে গত ২৩ বছরে কোন পেস বোলিং ফাউন্ডেশন তৈরি হয়নি। কিন্তু অপরদিকে ভারতে ১৯৮৭ সাল থেকে এম আর এফ ফাউন্ডেশন পেজ বোলিং নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এ রকম আরো অনেক পেজ বোলিং ফাউন্ডেশন গড়ে ওঠেছে। তাদের কাজ হলো ভালো পেজ বোলার খুজে বের করে তাদের স্কিলের উন্নয় করা।
২০১৪ সালে এম.আর.এফ এর সাথে বিসিসিআই-এর ৫ বছরের একটি চুক্তি হয়েছিল পেস বলের ডেভেলপমেন্টের জন্য। ইন্ডিয়াতে এরকম আরো অনেকগুলো পেস বল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন রয়েছে যারা ভালো ভালো ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করেছে।
একজন পেস বলার যখন দৌড়াচ্ছেন তখন নিচের দিকের মাসল থেকে শুরু করে উপরের মাসল পর্যন্ত কাজ করে । এখানে অনেকগুলো মাসল ছোট রয়েছে আবার অনেকগুলো বড় হয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রেও দৃষ্টি রাখা হয় এবং যে পেশার যেভাবে বোল করতে সাচ্ছন্দ বোধ করবে ওইভাবে তাকে আস্তে আস্তে করে ডেভেলপ করা হয়। এই পদ্ধতিতে খুব সহজে কোন পেসারের কোন কোন জায়গায় সমস্যা রয়েছে সেটা খুজে বের করে সেই ভাবে তাকে ডেভলপ করা যায়। সমস্ত বিষয়গুলো ওই পেস বোলিং ফাউন্ডেশন ভালোভাবে মনিটর করে থাকে।
আমাদের বাংলাদেশ বোলারদের ডেভেলপমেন্ট এভাবে হয় না। একজন পেসার কতটুকু সুইং করাতে পারবে সেটা কিন্তু তার বল ধরার উপর নির্ভর করে। সেই বিষয়টাও কিন্তু ওই ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন গুলো কাজ করে থাকে। লোকাল কোচগুলো যদি ক্রিকেটারদের নিয়ে এইভাবে ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে পারে তাহলে উপরের লেভেলে যারা রয়েছে তারা কি পরিমান কাজ করে এই পেসারদের নিয়ে সেটা ভারতের খেলা দেখলেই বুঝা যায়।
এক্ষেত্রে আসলে তারাই তো বেস্ট সুইং করবে এটাই বাস্তবতা। ইতিমধ্যে ভারতকে অনেকে দোষ দিচ্ছেন যে নতুন বলে খেলা হচ্ছে। আসলে নিতান্তই মনগড়া কথা তারা খেলাটা বোঝে এবং তাদের ওইভাবে ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে যে কারণে তারা সেটা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
মোহাম্মদ সামি রিসেন্টলি একটা ইন্টারভিউ বলেছেন ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমী এবং এম.আর.এফ পেস বোলিং ফাউন্ডেশন তারা একযুগে যে কাজ করেছেন। সেখানে তাদের লক্ষ্যনিয় বিষয় ছিল ক্রিকেটারদের ফিট রাখা এবং দ্রুত রিকভারি করে পুনরায় খেলার সাথে সম্পৃক্ত করা এই বিষয়গুলো নিয়েও তারা কাজ করেছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তানিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যে তারা দ্রুততম সময়ে রিকভারি করতে পারছে না। ইন্ডিয়ার রিকভারি সিস্টেমটা অনেক সঠিক ভাবে মনিটর করা হয়। বায়ো মেকানিক্যাল ফ্যাক্টর, রিকভারি ফ্যাক্টর এবং সেইসঙ্গে পেস বোলার দের স্কিল ডেভেলপমেন্টের নিয়ে কাজ করা। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এই ধরনের অর্গানাইজেশন তো নেই ।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে বড় ঘোষণা: ৪৪ কোম্পানির বোর্ড সভার সময়সূচি প্রকাশ, আসছে ইপিএস
- শেয়ার বাজারে কারসাজি: ১৩ পক্ষকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা জরিমানা বিএসইসির
- আজকের সোনার দাম: ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ও রুপার ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া: রনির ব্যাটিং ঝড়, ৭২ বলে ২৪৫, শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- আজকের সোনার দাম: দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- সেনাবাহিনীসতর্কবার্তা: জারি করল সতর্কতা
- ফিজি বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live) এখানে
- প্রকৌশল খাতে ১২ কোম্পানির লভ্যাংশ অপরিবর্তিত
- সামিট অ্যালায়েন্সের রেকর্ড মুনাফা: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আসছে রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ
- ওরিয়ন ইনফিউশন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- কিছুক্ষণ পর ব্রাজিল বনাম ইন্দোনেশিয়া ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live)
- আবারও রেকর্ড গড়লো স্বর্ণের দাম
- ফার্মা এইডসের বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিএসইসি’র বিতর্কিত নীতিতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে শেয়ারবাজার
- জাহানারা কাণ্ডে নতুন মোড়: মঞ্জুরুল-জ্যোতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রুমানা