নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে মাশরাফিকে

একটা সময় ছিল যখন মাশরাফি বলতে পাগল ছিল সবাই। তার নামে গোটা গ্যালারি ফাটিয়ে দিত ভক্ত সমর্থকরা। তিনিই এক সময় ছিলেন মাহানায়ক। এখন হয়ে গেছেন মার্ভেল মভির সবচেয়ে বড় ভিলেন থ্যানোসের মত ভক্তদের কাছে। কোটা আন্দোলনের সময় চুপ থাকা, দলের উর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকতে না পারার ব্যাপারটি তুমুল আলোচনা সমালোচনা জন্ম দেয়।
এর ফলশ্রুতিতে পুড়িয়ে দেয়া হয় তার বাড়ি। তবে এবার সব কিছু নিয়ে নিরবতা ভেঙেছেন মাশরাফি। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সব কিছু পরিস্কার করেছেন।
আপনার স্ত্রী বা আপনার পরিবার কি আপনার এই ভাবনার সঙ্গে একমত ছিল?
মাশরাফি: শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।
আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ জুলাই থেকেই দিচ্ছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি।
স্ত্রী-সন্তানদের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হয়েছে, কেন কিছু লিখতে পারিনি। শুধু পরিবার নয়, বন্ধু-বান্ধব, আশেপাশের সবাই জিজ্ঞেস করেছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি। তবে মেয়ের কাছে অন্তত এটুকু জায়গা আমার আছে যে, বাবা তাকে আটকায়নি।
দেখুন, কোটা আন্দোলনের যে ছাত্ররা আছেন, বা সমন্বয়কদের একজন, যিনি ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন, উনি তো এখন খেলাধুলা নিয়ে কাজ করবেন। এখন যদি তার কোনো সমস্যা হয় বা কোথাও আটকে যান বা বড় কোনো ঘটনা ঘটে, তখন তিনি কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নেবেন বা সিনিয়র কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন। তার পর বিবৃতি দেবেন। কারণ, উনি একটি দায়িত্বশীল জায়গায় আছেন। হুট করেই কিছু বলতে বা করতে পারবেন না।
কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গাগুলোয় অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকে। হ্যাঁ, ক্রিকেটার মাশরাফির কাছে মানুষের আবেগ-ভালোবাসার দাবি থাকবেই। ক্রিকেটের কারণেই এত ভালোবাসা পেয়েছি। নড়াইলের কৌশিক সংসদ সদস্য হতে পেরেছে সে বাংলাদেশের মাশরাফি হয়েছে বলেই। ক্রিকেটার হিসেবে সেই ভালোবাসার দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছি। সংসদ সদস্য হিসেবে চেষ্টা করেছি বড় পরিসরে কিছু করতে। সেখানেও ব্যর্থ হয়েছি। অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখুন স্কোর
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: জানুন হেড টু হেড পরিসংখ্যান
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট, লাইভ দেখুন এখানে
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বাড়ল বাড়ি ভাড়া
- দুই কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা আসছে ডিভিডেন্ড
- মশিউর সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার স্থানান্তরের নির্দেশ ডিএসইর
- নতুন পে স্কেল: সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন হিসাব হবে যে নিয়মে
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আজকের খেলার সময়সূচি: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সেভিয়া বনাম বার্সেলোনা
- একমি পেস্টিসাইড শেয়ার কেলেঙ্কারি: তদন্তে নতুন মোড়, কঠিন সিদ্ধন্ত বিএসইসির
- শেয়ারবাজারে অবিশ্বাস্য উত্থান: ১০ খাতে মুনাফা, হাসছে বিনিয়োগকারী
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(৫ অক্টোবর ২০২৫)