অস্ট্রেলিয়া-১, ভারত-৩, দেখেনিন বাংলাদেশের অবস্থান

অ্যাডিলেইডে অনুষ্ঠিত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ের মাধ্যমে সিরিজে সমতা আনল স্বাগতিক অজিরা। অন্যদিকে, শীর্ষস্থান হারিয়ে ভারত নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে।

ভারতের দেওয়া মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে একটুও সময় নষ্ট করেনি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার, নাখান ম্যাকসুইনি এবং উসমান খাজা। ২০ বলেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের বিপক্ষে এত কম রান তাড়া করে কোনো দলের জয় এবারই প্রথম।

অ্যাডিলেইডের সবুজ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়েছিল মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়ে। এই ধসের পেছনে মূল ভূমিকা রাখেন মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স, যারা ভারতীয় ব্যাটারদের একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেন।

অ্যাডিলেইড টেস্টের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১০২, জয়ের হার ৬০.৭১ শতাংশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৯.২৬ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ভারতের জয়ের হার কমে ৫৭.২৯ শতাংশে নেমে যাওয়ায় তারা এখন টেবিলের তৃতীয় স্থানে।

এই হারের ফলে রোহিত শর্মার দলের জন্য ডব্লিউটিসি ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিততে না পারলে, তাদের নির্ভর করতে হবে অন্য দলগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর। শীর্ষ দুইয়ে থেকে ফাইনালে জায়গা পেতে হলে ভারতের সামনে বাকি ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় বিভাগেই উন্নতি দেখানোর বিকল্প নেই।

অ্যাডিলেইডে এই দাপুটে জয়ের পর, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি এখন ১-১ সমতায় রয়েছে। পরবর্তী ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে দুই দলই সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

ক্রিকেটবিশ্ব এখন তাকিয়ে, টেস্টের এই মহারণের বাকি লড়াইয়ের দিকে।

ডব্লিউটিসি ২০২৩-২৫ পয়েন্ট টেবিল:

অস্ট্রেলিয়া: ১০২ পয়েন্ট (৬০.৭১ শতাংশ)

দক্ষিণ আফ্রিকা: (৫৯.২৬ শতাংশ)

ভারত: (৫৭.২৯ শতাংশ)

শ্রীলঙ্কা: (৫০ শতাংশ)

ইংল্যান্ড: (৪৫.২৪ শতাংশ)

নিউজিল্যান্ড: (৪৪.২৩ শতাংশ)

পাকিস্তান: (৩৩.৩৩ শতাংশ)

বাংলাদেশ: (৩২.২৫ শতাংশ)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: (২৪.২৪ শতাংশ)

তথ্য গুলো দিয়ে সুন্দর করে একটা পূর্ণাঙ্গ নিউজ লিখে দিন