
MD. Razib Ali
Senior Reporter
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিবর্তনে এক নতুন নায়ক আশিক চৌধুরীর পরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিপ্লবী পরিবর্তনের লক্ষ্যে এসে সবার নজর কেড়েছেন আশিক চৌধুরী। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে স্টারলিংক এবং নাসার সঙ্গে চুক্তি করে তিনি এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়নে। অথচ, অনেকেই ভাবছেন, "কোথায় ছিলো আশিক চৌধুরী এতদিন?" প্রশ্ন উঠছে, তাকে কেন এতদিন কাজে লাগানো হয়নি? আসুন, আশিক চৌধুরী সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নিই।
এক সাধারণ ছেলেকে অপ্রতিরোধ্য সফলতায়
চাঁদপুরের সন্তান আশিক চৌধুরী, ছোটবেলা কাটিয়েছেন যশোরে, বাবার পেশাগত কারণে। সিলেট ক্যাডেট কলেজ এবং ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। তার পরেই তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোতে আঞ্চলিক অফিসার হিসেবে। পরবর্তীতে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকেও কাজ করেছেন লেন্ডিং স্ট্র্যাটেজি এবং ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং বিভাগে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার নূতন দিগন্ত
আশিক চৌধুরী শুধুমাত্র দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজের প্রতিভা প্রমাণ করেছেন। ইউকেতে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমানোর পর, তিনি লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে ফাইনান্সে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে আমেরিকান এয়ারলাইন্সে ফিনান্সিয়াল এবং স্ট্র্যাটেজিক অনালিস্ট হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে HSBC সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময়, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের উন্নতি।
দেশে ফিরে আসা: দেশের জন্য কাজ করতে প্রত্যাশা নিয়ে
আশিক চৌধুরী ২০২৪ সালে সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশের কাজে মনোযোগী হন। তার লক্ষ্য ছিল, দেশকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে গড়ে তোলা। মাত্র ছয় মাসে, তিনি দেশকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক নতুন অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছেন। তিনি স্টারলিংক এবং নাসার সাথে চুক্তি করেছেন, বাইরের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছেন এবং রিভার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের জন্য বিশাল বিনিয়োগ আনছেন।
দেশের জন্য এক স্বপ্নদ্রষ্টা
আশিক চৌধুরী শুধু পেশাগত দিকেই সফল নন, তিনি একজন স্কাই ডাইভারও। থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ শেষে, ২০২৪ সালের ২৫শে মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিস থেকে ৪১,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। এই অসাধারণ সাফল্য তাকে ‘গ্রেটেস্ট ডিফেন্স ফ্রি ফল উইথ ব্যানার’ বিভাগে স্বীকৃতি এনে দেয়।
একটি নতুন আশার বাতিঘর
আশিক চৌধুরী তার প্রতিভা দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, মেধাবী তরুণরা যদি দেশের জন্য কাজ করতে ফিরে আসেন, তা দেশ ও জাতির জন্য বড় উপকার বয়ে আনতে পারে। তার এই পদক্ষেপ দেশের জন্য নতুন প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে। আশা করা যায়, আরও অনেক মেধাবী তরুণ বিদেশ থেকে ফিরে আসবেন এবং নতুন ভাবনায় বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবেন।
আশিক চৌধুরী একটি উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন—এমন একটি মেধাবী যুবক যে দেশকে বদলানোর স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছে, এবং তার কাজের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যতের জন্য নতুন এক আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- বিক্রেতা সংকটে হল্টেড ৬ কোম্পানি