মুকুলের শেষ পোস্ট ঘিরে রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বলিউডের পর্দা আজ নিঃশব্দ। আলো-আঁধারির নায়ক মুকুল দেব নেই। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি, রেখে গেলেন একরাশ বিস্ময়, বিষাদ আর উত্তরহীন প্রশ্ন। দিল্লির এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও তার প্রয়াণ যেন হৃদয়ে দগদগে এক ক্ষত রেখে গেলো অনুরাগীদের মধ্যে।
দীর্ঘদিন ধরেই শরীরের সাথে যুদ্ধ করছিলেন মুকুল। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহে সেই লড়াই হঠাৎ যেন কঠিন হয়ে ওঠে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন তার একমাত্র কন্যা সিয়া দেব। তবুও অনেকেই বলছেন—তিনি কি আদৌ কারও পাশে ছিলেন? নাকি ছিলেন নিঃসঙ্গ, নিঃশব্দ এক জগতে, যেখান থেকে ফেরার আর পথ ছিল না?
মুকুলের ব্যক্তিজীবনের পর্দা টানাটানির মতোই নিঃশব্দ। মা-বাবার মৃত্যুর পর তিনি যেন নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিয়েছিলেন চার দেয়ালের ভেতরে। সমাজ, বন্ধু, এমনকি পরিবারের থেকেও দূরে সরে গিয়ে নিজেকে একা করে ফেলেন। দিন কাটাতেন একাকীত্ব, মানসিক অবসাদ, মদ্যপান আর গুটখার নেশার ছায়ায়।
আর এই ছায়া যেন ঘনিয়ে উঠেছিল তার শেষ সামাজিকমাধ্যম পোস্টেও।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি। একটি বিমানের ককপিট থেকে তোলা ভিডিও—দিগন্তে মেঘের ফাঁক গলে উঁকি দিচ্ছে সূর্যরেখা। দৃশ্যটি যেমন বিমোহিত করে, তেমনি তার ক্যাপশন যেন এক অজানা অন্ধকারে টেনে নেয় পাঠককে। তিনি লেখেন:“অন্ধকার পূর্বাভাস জেনে যদি তোমার মস্তিষ্কে বিস্ফোরণ হয়, তাহলে চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।”
এই শব্দগুলোর উৎস ‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’-এর বিখ্যাত গান ‘ব্রেন ড্যামেজ’। গানটি মূলত একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষের বোধ ও বিচ্ছিন্নতার কাহিনি বলে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে—কেন এই উদ্ধৃতি? কেন এই সময়?
ভক্তরা বলছেন, এটি কি কেবল পছন্দের একটি গানের লাইন, নাকি ছিল এক প্রকার বিদায়বার্তা?
এই পোস্টের গভীরতা, প্রতীক ও আভাস আজ নতুন আলোয় দেখা হচ্ছে মুকুলের প্রয়াণের পর। অনেকেই বলছেন, মুকুল হয়তো বলার চেষ্টা করেছিলেন তার ভেতরের বেদনার কথা, তার নিঃসঙ্গতা, কিংবা সেই "অন্ধকার পূর্বাভাস" যা একদিন বাস্তব হয়ে ধরা দেবে।
তার ভাই, অভিনেতা রাহুল দেব লিখেছেন সামাজিকমাধ্যমে,“গত রাতে নয়াদিল্লিতে আমার ভাই শান্তিতে প্রয়াণ করেছে। তার সঙ্গে ছিল কন্যা সিয়া দেব। আমাদের দুই ভাইবোন রশ্মি ও আমি মুকুলকে গভীরভাবে মিস করব।”
‘দস্তক’ দিয়ে যাত্রা শুরু করা মুকুল দেব ছিলেন একাধারে অভিনেতা, মডেল, অ্যাকশন ডিরেক্টর—আর হয়তো এক গভীর চিন্তার মানুষ। অভিনয়ের বাইরে তার যে ব্যক্তিজীবন ছিল, তা যেন পর্দার আড়ালের এক অপূর্ণ চিত্রনাট্য।
এখন প্রশ্ন একটাই: চাঁদের সেই "অন্ধকার পাশে" সত্যিই কেউ ছিল কি? নাকি মুকুল একাই অপেক্ষা করছিলেন নিজের প্রস্থানপথে?
উত্তর মেলে না, শুধু রয়ে যায় নিঃশব্দ এক দীর্ঘশ্বাস।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- বিসিবিতে প্রধান কোচ হয়ে ফিরলেন হান্নান সরকার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ৬০ কোম্পানির কাছে মূলধন রোডম্যাপ চাইল বিএসইসি
- সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা: নাম প্রকাশ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৪ জুন ২০২৫)
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না