ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা, দায়ী ১৭ কোম্পানি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ২৮ ১৯:১০:২১
শেয়ারবাজারে বড় ধাক্কা, দায়ী ১৭ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার, ২৮ মে—দেশের শেয়ারবাজারে আরও একবার বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক এদিন কমেছে ৬২.৮৮ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পতন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ১৭টি কোম্পানির দরপতনেই সূচকে পড়েছে ৪০ পয়েন্টের চাপ।

সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ। এককভাবে ইসলামী ব্যাংক সূচকে ৫.৩৫ পয়েন্ট, ওয়ালটন ৫.২৮ পয়েন্ট, আল-আরাফাহ ৪.৩৪ পয়েন্ট এবং বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ৩.৯২ পয়েন্ট নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এই চারটি কোম্পানি বড় মূলধনী হওয়ায় এদের দরপতনের প্রভাব সূচকে সরাসরি প্রতিফলিত হয়েছে। বাকি ১৩টি কোম্পানি সূচকে ১ থেকে ৩ পয়েন্ট পর্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব রেখেছে।

এই ১৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টিই ব্যাংক খাতভুক্ত। ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক দুর্বলতা বাজারে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি প্রভিশন ঘাটতি ও আর্থিক দুর্বলতার কারণে ১৮টি তালিকাভুক্ত ব্যাংককে ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব আজকের বাজারে প্রতিফলিত হয়েছে।

এছাড়া, ওয়ালটন, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও তিতাস গ্যাসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে মূল্যহ্রাস বাজারের অন্যান্য খাতেও চাপ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বাজারে এক ধরনের সমন্বিত পতনের ধারা তৈরি হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজকের লেনদেনে ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৯৫টির শেয়ার দর কমেছে, মাত্র ৬৩টির দর বেড়েছে এবং ২০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এই চিত্র বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের দিকেই ইঙ্গিত করে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ধারাবাহিক পতন এবং খাতভিত্তিক দুর্বলতা থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সুস্পষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ প্রয়োজন। ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা, নিয়ন্ত্রণে স্থিতিশীলতা এবং প্রণোদনামূলক ব্যবস্থা ছাড়া বাজারে আস্থার সংকট কাটানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ