বাজেটে ব্রোকারেজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজার যেন অনেক দিন ধরেই মরুভূমিতে এক ফোটা বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল। সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। আজ সোমবার (২ জুন) সংসদে উত্থাপিত হতে যাওয়া বাজেটে বাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য থাকছে একগুচ্ছ স্বস্তির প্রস্তাব—কর কমছে, উৎসাহ বাড়ছে, ফিরে আসছে আশাবাদ।
করের বোঝা কমছে, ফিরে পাচ্ছে দম
বছরের পর বছর ধরে লোকসানের ভার টেনে নেওয়া অনেক ব্রোকারেজ হাউসের মুখে এখন কিছুটা হাসির রেখা। কারণ, প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ার লেনদেনে উৎসে কর ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। বহুদিনের এই দাবির পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে সরব ছিল ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বললেন, “এই কর কমানো শুধু আর্থিক স্বস্তিই দেবে না, এটি হবে অনেক ছোট ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্রোকারেজ হাউসের টিকে থাকার শেষ আশার বাতি।”
মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য বড় সুখবর
শুধু ব্রোকারেজ হাউস নয়, কর কমার আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোও। এতদিন ৩৭.৫ শতাংশ কর হারে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাওয়া এসব প্রতিষ্ঠান এখন ২৭.৫ শতাংশ কর সুবিধা পেতে পারে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুনের ভাষায়, “আমরা প্রচলিত ব্যাংক নই, অথচ একই কর দিচ্ছি। এই ভার কমলে আমরা গবেষণা ও বাজার উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে পারব। ফলে ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করাও সহজ হবে।”
তালিকাভুক্তিতে মিলবে বাড়তি প্রণোদনা
ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে এবার বাজেটে আরও বড় পরিকল্পনা—তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়িয়ে ৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব থাকছে।
এই ব্যবধান তৈরির মাধ্যমে সরকার স্পষ্ট বার্তা দিতে চায়: বাজারে এসো, কর সুবিধা নাও, আর দেশের মূলধনী বাজারকে শক্তিশালী করো। প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ এবং পুরো লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে হলে তা আরও কমে ২০ শতাংশে নেমে আসবে। অপরদিকে, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর হার থাকবে ২৭.৫ শতাংশ, কিছু শর্ত পূরণ করলে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।
আস্থার বার্তা, সম্ভাবনার দিগন্ত
বাজেটের এসব প্রস্তাবকে শুধু আর্থিক সুবিধা হিসেবে নয়, বরং বাজারে আস্থার বার্তা হিসেবেও দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। করের বোঝা কমানো, কর ব্যবধান বাড়ানো এবং তালিকাভুক্তিকে উৎসাহিত করা—এই তিনটি ধাপ একত্রে বাজারে নতুন গতি আনতে পারে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত এক দশকের মধ্যে শেয়ারবাজারের প্রতি এমন প্রত্যক্ষ ইতিবাচক বার্তা খুব কমই এসেছে বাজেট প্রস্তাবনায়। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, বাজারে ফিরবে বহুল প্রতীক্ষিত স্থিতিশীলতা।
বাজেটের খসড়া থেকে স্পষ্ট—শেয়ারবাজার আর অবহেলার জায়গা নয়, বরং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবেই তাকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। কর ছাড়ের এই সুবাতাস যদি বাস্তব রূপ পায়, তাহলে বাজারের খরা কাটিয়ে ফিরে আসতে পারে নতুন বসন্ত।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ঈদের আগে সোনার বাজারে স্বস্তি, আসলো নতুন সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশে আজকের সোনা বাজার মূল্য: ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ১ লাখ ও ৯০ হাজারের গরু ৭০ হাজারে
- ঢাকায় ল্যান্ডের সময় ৬ বারেও ব্যর্থ পাইলট, তারপর যা ঘটলো
- ঈদের আগে শিক্ষকদের মুখে হাসি, সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
- পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
- সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সোনার দোকান
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান: শেষদিকে হঠাৎ বিপর্যয়, বদলে গেল ম্যাচ
- ডিএসই-ডিবিএ বৈঠকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যুগান্তকারী প্রস্তাবনা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানি লাইসেন্স বাতিলেরউদ্যোগ
- প্রয়াত হলেন সাবেক এমপি আনোয়ারুল, কুমিল্লা বিএনপিতে শোক
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়
- চিরবিদায় নিলেন সাংকো পাঞ্জা
- ঢাকায় গভীর রাতে ভূমিকম্প! বিশেষজ্ঞরা দিলেন বড় সতর্কতা
- ঈদুল আজহা ও আরাফাহ দিবস তারিখ ঘোষণা করলো সৌদি আরব