ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

দেশে ফেরার পথে ‘তারেক’, বিএনপি শিবিরে তোলপাড়

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৫ ১৮:০১:৫৯
দেশে ফেরার পথে ‘তারেক’, বিএনপি শিবিরে তোলপাড়

লন্ডন বৈঠক: সংকটের অন্ধকার কাটলো, স্বপ্ন জেগে উঠলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক আকাশে এক দীপ্তিমান তারকা ফের আলো ছড়াতে চলেছে। দেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তনের মুখোমুখি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকটের অন্ধকার কাটিয়ে তিনি শিগগিরই মাতৃভূমির মাটিতে পা রাখবেন। বিএনপি শিবিরে এখন এক অনন্য উচ্ছ্বাস, সজীব প্রত্যাশার আলো মাখা হাসি।

লন্ডনের পার্ক লেনের একটি হোটেলে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই প্রজন্মের রাজনৈতিক দুই মহারথী—ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠক ঘিরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে আশার বার্তা। এক সময়ের অদ্ভুত গুঞ্জনের ছায়া, ধীরে ধীরে হারাতে শুরু করেছে তার ক্ষমতা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানালেন, “দেশে ফেরার পথে তারেকের কোনো বাধা নেই। সময়মতো নিজেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।”

এই ঘোষণায় দলটির প্রত্যেক নেতা-কর্মী যেন নতুন প্রাণ পেলেন। চোখে চোখে জ্বলে উঠলো নতুন আশার আলোর শিখা। রাজনৈতিক মঞ্চে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন উত্তাপ তুঙ্গে, তখন এই প্রত্যাবর্তন যেন ঢাকায় হাজারো মানুষের সমাবেশের প্রেতরূপ। তাদের কণ্ঠে একটাই দাবি—“তারেক ফিরে আসুন, নতুন বিজয়ের সূচনা হোক।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসার ঝড়

নেতা হওয়ার বাইরে একজন রাজনৈতিক প্রাজ্ঞের মতো তারেক রহমানের কূটনৈতিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি লন্ডন বৈঠকে প্রকাশ পেয়ে প্রশংসায় ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকে বলছেন, ‘তারেকের প্রত্যাবর্তন শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য নতুন স্বপ্নের দরজা খুলে দেবে।’

শত্রুদের দুশ্চিন্তা, গণতন্ত্রপ্রেমীদের উৎসব

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য এক অভিশাপ। গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অপশক্তি আজ বিষাদে নিমজ্জিত, আর গণতন্ত্রকামীরা উল্লাসে ভাসছেন। দীর্ঘদিন ধরেই চাপা থাকা উত্তেজনা এক মুহূর্তে প্রশমিত হয়ে গেল। রাজধানী ঢাকায় ও দেশের সর্বত্র নির্বাচনের হাওয়া ঘনিয়েছে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি, জনতার প্রত্যাশা

আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্তকরণ ও আসন ভাগাভাগির গণরাঁধনি এখন তুঙ্গে। লড়াই হবে জনতার ভোটের মঞ্চে, যেখানে প্রত্যেক প্রার্থী তারেকের প্রত্যাবর্তনের আলোয় উজ্জ্বল হওয়ার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে সামনে রেখে এক নতুন যুগের সূচনা করতে প্রস্তুত।

বাংলার রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে—তারেকের প্রত্যাবর্তন সেই ইতিহাস রচনা করবে। জনতার আশা ও আকাঙ্ক্ষার সাগর বয়ে যাবে ঢাকায়, যেখানে কোটি মানুষের স্বপ্ন আর আবেগের ঢেউয়ে মিশে যাবে গণতন্ত্রের নতুন আলোর গান।

FAQ:

১. তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন?

তারেক রহমান ৫ আগস্টের আগে বা নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার পর দেশে ফিরতে পারেন।

২. লন্ডন বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে?

বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক সংকট ও সরকারের সঙ্গে সমঝোতা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

৩. তারেক রহমানের দেশে ফেরা কি বাধা রয়েছে?

না, তার দেশে ফেরার কোনো আইনগত বাধা নেই, তিনি নিজ ইচ্ছায় ফিরতে পারবেন।

৪. তারেকের দেশে ফেরার সময় রাজধানীতে কত লোক সমবেত হতে পারে?

প্রায় ১০ লাখ লোক ঢাকায় সমবেত হতে পারে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য।

৫. লন্ডন বৈঠকের ফলাফল কি?

বৈঠক সফল হওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে, নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ