ঈদের পর বাজারে ফিরল চাঙ্গাভাব, তবে চাপ জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি শেষে রবিবার (১৫ জুন) পুনরায় চালু হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ফিরে আসে স্থিতিশীলতা। দিন শেষে ডিএসই এবং সিএসই—উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই চাঙ্গাভাব দেখা গেছে।
তবে বাজারের এই ইতিবাচক গতি ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনের শীর্ষ ১০ দরপতনকারী কোম্পানির মধ্যে ৯টিই ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত।
দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো:
পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স
আনলিমা ইয়ার্ন
শ্যামপুর সুগার মিলস
নূরানী ডাইং
জুট স্পিনার্স
আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং
উত্তরা ফাইন্যান্স
নিউলাইন ক্লোথিংস
ফ্যামিলিটেক্স বিডি
ডিএসই সূত্র অনুযায়ী, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারমূল্য ৮.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২১.৩০ টাকা, যা ছিল দিনের সর্বোচ্চ পতন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে আনলিমা ইয়ার্ন, যার দর ৬.৯১ শতাংশ কমে ২০.২০ টাকায় দাঁড়ায়।
শ্যামপুর সুগার মিলস ৬.৪৯ শতাংশ দর হারিয়ে ১২৫.৩০ টাকায় লেনদেন শেষ করে।
অন্য কোম্পানিগুলোর দর পরিবর্তন:
নূরানী ডাইং: ৬.২৫% কম (২০ পয়সা)
জুট স্পিনার্স: ৫.৪৫% কম (১১.৪০ টাকা)
আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং: ৫% কম (৩০ পয়সা)
উত্তরা ফাইন্যান্স: ৪.৯০% কম (৫০ পয়সা)
নিউলাইন ক্লোথিংস: ৪.৬৯% কম (৩০ পয়সা)
ফ্যামিলিটেক্স বিডি: ৪.৩৬% কম (১০ পয়সা)
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সীমিত। এসব কোম্পানির অনেকেই নিয়মিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে না বা লভ্যাংশ প্রদান বন্ধ রেখেছে। ফলে বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে কেনাবেচা খুব সীমিত, যার কারণে দরপতন ঘটছে।
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার সাধারণত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়। যেসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেয় না, বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) স্থগিত করে বা নিয়মভঙ্গ করে, তাদের ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থান দেওয়া হয়।
এ ধরনের শেয়ারে হঠাৎ করে দাম বাড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি স্বল্পমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়।
FAQ:
প্রশ্ন: ‘জেড’ ক্যাটাগরি কী?
উত্তর: ‘জেড’ ক্যাটাগরি হল এমন কোম্পানি যারা দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেয় না বা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) করে না। সাধারণত আর্থিকভাবে দুর্বল কোম্পানিকে এই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়।
প্রশ্ন: কেন জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে দরপতন হয়?
উত্তর: বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চায় না। যার কারণে বাজার চাঙ্গা থাকলেও এসব কোম্পানির শেয়ারে চাহিদা কমে যায়।
প্রশ্ন: জেড ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ?
উত্তর: এসব শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনিশ্চিত।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- নকল অ্যাপ, ভুয়া ব্রোকারেজ: শেয়ারবাজারের বড় প্রতারণা উন্মোচন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা: ৩,০০০ সদস্যের প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- শেয়ারবাজারে আলোড়ন: ৯ স্টকে বাই সিগন্যাল, নতুন সুযোগ?
- বিনিয়োগকারীদের চিন্তা দুর করলো ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলো ৮ কোম্পানি
- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর: নতুন পে-স্কেল, কার কত বেতন বাড়বে
- পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- রেকর্ড চাহিদা: বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ২৪ কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজি সংগ্রহে ব্যর্থ শেয়ারবাজার: দায়ী কারা? ফাঁস করলেন বিশেষজ্ঞরা
- ইন্টার মায়ামি বনাম শিকাগো ফায়ার: শেষ ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ
- আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ৪ পরিবর্তন
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নিয়মে যুগান্তকারী পরিবর্তন
- শেয়ারবাজারে নতুন মোড়: ফিরছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা!