ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

শাহরুখের নাইট রাইডার্সে পাকিস্তানের দুই তারকা ক্রিকেটার!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৭:৫১:৪৫
শাহরুখের নাইট রাইডার্সে পাকিস্তানের দুই তারকা ক্রিকেটার!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বলিউডের রুপালি পর্দার বাদশা তিনি, আবার ক্রিকেটবিশ্বে এক দুর্ধর্ষ স্ট্র্যাটেজিস্ট। মাঠে থাকলে গ্যালারির উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়, ক্যামেরা ঘুরে আসে বারবার তাঁর মুখপানে। তিনি শাহরুখ খান—আইপিএলের কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) গর্বিত মালিক, আর ক্রিকেটীয় আবেগের এক অবিচ্ছেদ্য নাম।

তাঁর নাইট রাইডার্স পরিবার কেবল ভারতেই নয়, বিস্তৃত হয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত। আর এবার সেই পরিবারের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত এক ভূখণ্ড—পাকিস্তান। দীর্ঘদিন পর ফের পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারকে দলে টেনে চমকে দিয়েছে শাহরুখের মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক আর বিস্ময়ের ঝড়।

একটা সময় ছিল, যখন কেকেআরের হয়ে মাঠে নামতেন শোয়েব আখতারের মতো দানবীয় পেসার, উমর গুল, সলমন বাট কিংবা মোহাম্মদ হাফিজের মতো বিশ্বসেরা পারফর্মাররা। কোচিংয়ে ছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম। কিন্তু সময় বদলেছে। সীমান্তে উত্তেজনা, সন্ত্রাসী হামলা আর রাজনৈতিক টানাপোড়েনে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের উপর কার্যত তালা লেগে যায় আইপিএলে।

সেই প্রেক্ষাপটেই এবার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাইট রাইডার্স পরিবার। সিপিএলের দল ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছে পাকিস্তানের দুই তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির এবং উসমান তারিককে। না, তাঁরা কেকেআরের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন না, তবে নাইট রাইডার্স নামের অধীনে তাঁরা আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মঞ্চে আলো ছড়াবেন—এটা অনেকের কাছেই বিস্ময়।

চারবারের চ্যাম্পিয়ন ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্স এবার চায় ভিন্ন কিছু। একদিকে অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে সম্ভাবনার মিশেল। পেসার আমির, যাঁর হাতে ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বহু ব্যাটারের, আর অপরদিকে অফস্পিনার উসমান তারিক, যাঁকে ঘিরে পাকিস্তানে গড়ে উঠছে নতুন আশার গল্প।

তবে এই চুক্তিকে ঘিরে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, “খেলাধুলা তো হিংসা বা রাজনীতির ভাষা বোঝে না।” আবার কেউ তীব্র সমালোচনা করছেন, “এই সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া ঠিক হয়নি।” দুই বিপরীত স্রোতের মাঝেই দাঁড়িয়ে, শাহরুখ যেন নিজের স্টাইলেই জানিয়ে দিচ্ছেন—‘খেলা যেন শুধু খেলা হয়, সীমান্ত নয়।’

এই চুক্তি কেবল দুই ক্রিকেটারের দলে যোগদান নয়, এটি এক নতুন দিগন্তের শুরু। যেখানে রাজনীতি ও কূটনীতি ছাপিয়ে ক্রিকেট ফিরতে চায় সেই উদার ও গ্লোবাল ভাষায়, যার নাম—স্পোর্টসম্যানশিপ।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ